রাজাকারদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন করে বিএনপি নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:১৬
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী রাজাকারদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরে বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন র্যালি উদ্বোধনকালে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করে। ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর রাজাকারের তালিকা কেন’ বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি রাজাকারদের পক্ষে নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এত দিন ধরে বলে আসছি, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দলের চেয়ারপারসন পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন। তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর মির্জা ফখরুল সাহেব কেন তালিকা প্রকাশ হলো- এ প্রশ্ন রেখে রাজাকারদের পক্ষ অবলম্বন করে নিজেদের মুখোশই উন্মোচন করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, রাজাকারদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তারা বিএনপি ও তাদের সহযোগী এবং সে জন্যই এ তালিকা প্রকাশে তাদের এত গাত্রদাহ।’
এসময় ‘তালিকায় কিছু ভুল রয়েছে’ বলে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কিছু ভুল রয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন এবং ভুলগুলো অবশ্যই শুধরে নেবার সুযোগ আছে। তবে এ ভুলগুলো কেন হলো, কিভাবে হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করেছে কি না, তা অনুসন্ধান করে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও জাতি গঠন এবং উন্নত রাষ্ট্র গড়ার পাশাপাশি জাতির মনন তৈরিতে বেতারের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। নিউ-মিডিয়ার যুগেও বেতার তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেছে। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র মানুষ এখন গাড়িতে, মোবাইলেও বেতার শোনে। বাংলাদেশ বেতার ১৯৩৯ সালে পূর্ব-বাংলা আমলে প্রতিষ্ঠা পেয়ে এ অঞ্চলের মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যে অবদান রেখেছে, তা ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) হোসনে আরা তালুকদার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:১৬

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী রাজাকারদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরে বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন র্যালি উদ্বোধনকালে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করে। ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর রাজাকারের তালিকা কেন’ বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি রাজাকারদের পক্ষে নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এত দিন ধরে বলে আসছি, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দলের চেয়ারপারসন পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন। তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর মির্জা ফখরুল সাহেব কেন তালিকা প্রকাশ হলো- এ প্রশ্ন রেখে রাজাকারদের পক্ষ অবলম্বন করে নিজেদের মুখোশই উন্মোচন করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, রাজাকারদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তারা বিএনপি ও তাদের সহযোগী এবং সে জন্যই এ তালিকা প্রকাশে তাদের এত গাত্রদাহ।’
এসময় ‘তালিকায় কিছু ভুল রয়েছে’ বলে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কিছু ভুল রয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন এবং ভুলগুলো অবশ্যই শুধরে নেবার সুযোগ আছে। তবে এ ভুলগুলো কেন হলো, কিভাবে হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করেছে কি না, তা অনুসন্ধান করে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও জাতি গঠন এবং উন্নত রাষ্ট্র গড়ার পাশাপাশি জাতির মনন তৈরিতে বেতারের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। নিউ-মিডিয়ার যুগেও বেতার তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেছে। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র মানুষ এখন গাড়িতে, মোবাইলেও বেতার শোনে। বাংলাদেশ বেতার ১৯৩৯ সালে পূর্ব-বাংলা আমলে প্রতিষ্ঠা পেয়ে এ অঞ্চলের মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যে অবদান রেখেছে, তা ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) হোসনে আরা তালুকদার।