ফজলে হাসান আবেদের জানাজায় মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০৮
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের জানাজায় ঢল নেমেছিল সাধারণ মানুষের।
রবিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে রাখা হয় ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতার মরদেহ।
বাংলাদেশকে ভেতর থেকে বদলে দেওয়া এই ব্যক্তিত্বের কফিনে ফুল দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নির্ধারিত থাকলেও মানুষের চাপে সেটা আর ১০মিনিট বাড়ানো হয়। পরে জানাজা শেষে আরেক দফা শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনরা জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে বনানী কবরস্থানে তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা আবেদের পাশে সমাহিত করার কথা রয়েছে।
এদিকে স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্মরণে রবিবার বেলা ২টা থেকে মহাখালীতে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয় ব্র্যাক সেন্টারে একটি শোকবই খোলা হবে।
এ ছাড়া আড়ং, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার এবং সারা দেশে ব্র্যাকের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শোকবই খোলা থাকবে। শোকবই থাকবে ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন। তার গড়া বাংলাদেশের ব্র্যাক আজ সারা বিশ্বে পরিচিত ও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের তৃণমূলের মানুষের সেবা করতে গিয়ে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন ফজলে হাসান আবেদ। মাত্র এক লাখ কর্মী নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর ১১টি দেশের ১২০ মিলিয়ন মানুষকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে চলেছে ব্র্যাক।
বেসরকারি উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া ফজলে হাসান আবেদ সমাজকর্মের জন্য স্যার উপাধি পাওয়া ছাড়াও অনেক পুরস্কার পেয়ে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানিত করেছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০৮

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের জানাজায় ঢল নেমেছিল সাধারণ মানুষের।
রবিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে রাখা হয় ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতার মরদেহ।
বাংলাদেশকে ভেতর থেকে বদলে দেওয়া এই ব্যক্তিত্বের কফিনে ফুল দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নির্ধারিত থাকলেও মানুষের চাপে সেটা আর ১০মিনিট বাড়ানো হয়। পরে জানাজা শেষে আরেক দফা শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনরা জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে বনানী কবরস্থানে তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা আবেদের পাশে সমাহিত করার কথা রয়েছে।
এদিকে স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্মরণে রবিবার বেলা ২টা থেকে মহাখালীতে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয় ব্র্যাক সেন্টারে একটি শোকবই খোলা হবে।
এ ছাড়া আড়ং, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার এবং সারা দেশে ব্র্যাকের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শোকবই খোলা থাকবে। শোকবই থাকবে ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন। তার গড়া বাংলাদেশের ব্র্যাক আজ সারা বিশ্বে পরিচিত ও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের তৃণমূলের মানুষের সেবা করতে গিয়ে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন ফজলে হাসান আবেদ। মাত্র এক লাখ কর্মী নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর ১১টি দেশের ১২০ মিলিয়ন মানুষকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে চলেছে ব্র্যাক।
বেসরকারি উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া ফজলে হাসান আবেদ সমাজকর্মের জন্য স্যার উপাধি পাওয়া ছাড়াও অনেক পুরস্কার পেয়ে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানিত করেছেন।