২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশে
টেলিটকের নেটওয়ার্ক প্রসারে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:৩৪
বেসরকারি খাতের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় পরিষেবায় পিছিয়ে থাকায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং উন্নত সেবা প্রদানই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ অঞ্চল টেলিটক নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।
ইউএনবি’র এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি এক বৈঠকে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বার্তা সংস্থাটিকে মোস্তফা জব্বার বলেন, “রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটরের বিভিন্ন ভুল-ত্রুটি দূর করতে এবং বেসরকারি অপারেটরদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নিয়েছে। পুরো দেশকে টেলিটক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাব উদ্দিন বলেন, “গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ও ফাইভজি নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি প্ল্যানিং কমিশন হয়ে এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন পেলে সেটি একনেকে যাবে। একনেকে অনুমোদন হলে আশা করছি ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শুরু করা যাবে।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ।
সাহাব উদ্দিন আরও বলেন,“প্রথম প্রকল্পটি শেষ হওয়ার আগে দ্বিতীয় আরেকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী ওই প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।”
বর্তমানে টেলিটকের গ্রাহক আছে ৪৭ লাখ। ২০২০ সালে ৭০ লাখ, ২০২১ সালে ১ কোটি, ২০২২ সালে ১ কোটি ৫০ লাখ এবং ২০২৪ সালে ২ কোটি গ্রাহক বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে টেলিটক।
গত বছরের রাজস্ব আয় ৬৪০ কোটি টাকার বিপরীতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০০১ কোটি টাকা আয় করার আশা করছে টেলিটক কর্তৃপক্ষ।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, “বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উপলক্ষে শিক্ষার্থী এবং নারীদের জন্য বিশেষ অফারসহ প্যাকেজ দেওয়া হবে। অন্যান্য মোবাইল অপারেটর থেকে সবচেয়ে কম মূল্যে ইন্টারনেট ডেটা দেওয়া হবে।”
২০০৫ সালে ৬৪৩ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে টেলিটক। পরে ২০০৮ সালে এটির নামকরণ করা হয় টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড নামে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:৩৪

বেসরকারি খাতের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় পরিষেবায় পিছিয়ে থাকায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং উন্নত সেবা প্রদানই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ অঞ্চল টেলিটক নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।
ইউএনবি’র এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি এক বৈঠকে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বার্তা সংস্থাটিকে মোস্তফা জব্বার বলেন, “রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটরের বিভিন্ন ভুল-ত্রুটি দূর করতে এবং বেসরকারি অপারেটরদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নিয়েছে। পুরো দেশকে টেলিটক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাব উদ্দিন বলেন, “গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ও ফাইভজি নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি প্ল্যানিং কমিশন হয়ে এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন পেলে সেটি একনেকে যাবে। একনেকে অনুমোদন হলে আশা করছি ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শুরু করা যাবে।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ।
সাহাব উদ্দিন আরও বলেন,“প্রথম প্রকল্পটি শেষ হওয়ার আগে দ্বিতীয় আরেকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী ওই প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।”
বর্তমানে টেলিটকের গ্রাহক আছে ৪৭ লাখ। ২০২০ সালে ৭০ লাখ, ২০২১ সালে ১ কোটি, ২০২২ সালে ১ কোটি ৫০ লাখ এবং ২০২৪ সালে ২ কোটি গ্রাহক বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে টেলিটক।
গত বছরের রাজস্ব আয় ৬৪০ কোটি টাকার বিপরীতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০০১ কোটি টাকা আয় করার আশা করছে টেলিটক কর্তৃপক্ষ।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, “বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উপলক্ষে শিক্ষার্থী এবং নারীদের জন্য বিশেষ অফারসহ প্যাকেজ দেওয়া হবে। অন্যান্য মোবাইল অপারেটর থেকে সবচেয়ে কম মূল্যে ইন্টারনেট ডেটা দেওয়া হবে।”
২০০৫ সালে ৬৪৩ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে টেলিটক। পরে ২০০৮ সালে এটির নামকরণ করা হয় টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড নামে।