নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রুখতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২১:৫১
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বৈষয়িক উন্নয়ন বাংলাদেশে অনেক হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে অনেকটাই। কিন্তু নৈতিকতা ও মূল্যবোধের মুক্তির কাঙ্ক্ষিত জায়গায় আমরা এখনো পৌঁছাতে পারিনি। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে না পারলে সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই এ অবক্ষয় রুখতে হবে। জাতিকে এ অবক্ষয় থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে সরকারি তিতুমীর কলেজের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘আলোকিত ৫০ বছর’ শিরোনামে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু পুথিগত বিদ্যা নয়, শিক্ষার্থীদের সততা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমের শিক্ষা দিতে হবে। এ চারটি বিষয়ের সমন্বয় ঘটাতে পারলে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা জাতির ভবিষ্যৎ রচনায় স্বপ্ন দেখতে পারি। এ স্বপ্ন দেখতে না পারলে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত, দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগ এবং আমাদের মহান নেতৃবৃন্দের আত্মোৎসর্গ অর্থহীন হয়ে যাবে।’
সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিতে একটি খারাপ সংস্কৃতি চালু হয়েছে। তা হলো, রাজনীতিতে এলেই বিত্তবৈভব, বাড়ি-গাড়ি, কয়েকটি কোম্পানির মালিক, শত শত কোটি টাকার মালিক হতে হবে। পদ-পদবি পেতেই হবে। এটা রাজনীতির মূল সংস্কৃতি নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এক সময় বলা হতো বাংলাদেশকে হবে দারিদ্র্যের রোল মডেল। অথচ আজ বিশ্ব নেতৃত্ব বলেন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সেই রোল মডেলের বাংলাদেশকে পরিপূর্ণতা দিতে হলে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ইমারত নির্মাণের মতো বৈষয়িক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে। ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। অবৈধ অর্থ উপার্জনকারীদের সম্পর্কে ঘৃণার উদ্রেক করতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিংকে যারা প্রশ্রয় দেন, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে’।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি তিতুমীর কলেজের পঞ্চাশ বছর উদ্যাপন উৎসবের আহ্বায়ক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, প্রাক্তন ভিপি মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আশরাফ হোসেন, উপাধ্যক্ষ ড. আবেদা সুলতানা প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২১:৫১

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বৈষয়িক উন্নয়ন বাংলাদেশে অনেক হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে অনেকটাই। কিন্তু নৈতিকতা ও মূল্যবোধের মুক্তির কাঙ্ক্ষিত জায়গায় আমরা এখনো পৌঁছাতে পারিনি। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে না পারলে সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই এ অবক্ষয় রুখতে হবে। জাতিকে এ অবক্ষয় থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে সরকারি তিতুমীর কলেজের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘আলোকিত ৫০ বছর’ শিরোনামে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু পুথিগত বিদ্যা নয়, শিক্ষার্থীদের সততা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমের শিক্ষা দিতে হবে। এ চারটি বিষয়ের সমন্বয় ঘটাতে পারলে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা জাতির ভবিষ্যৎ রচনায় স্বপ্ন দেখতে পারি। এ স্বপ্ন দেখতে না পারলে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত, দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগ এবং আমাদের মহান নেতৃবৃন্দের আত্মোৎসর্গ অর্থহীন হয়ে যাবে।’
সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিতে একটি খারাপ সংস্কৃতি চালু হয়েছে। তা হলো, রাজনীতিতে এলেই বিত্তবৈভব, বাড়ি-গাড়ি, কয়েকটি কোম্পানির মালিক, শত শত কোটি টাকার মালিক হতে হবে। পদ-পদবি পেতেই হবে। এটা রাজনীতির মূল সংস্কৃতি নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এক সময় বলা হতো বাংলাদেশকে হবে দারিদ্র্যের রোল মডেল। অথচ আজ বিশ্ব নেতৃত্ব বলেন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সেই রোল মডেলের বাংলাদেশকে পরিপূর্ণতা দিতে হলে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ইমারত নির্মাণের মতো বৈষয়িক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে। ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। অবৈধ অর্থ উপার্জনকারীদের সম্পর্কে ঘৃণার উদ্রেক করতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিংকে যারা প্রশ্রয় দেন, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে’।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি তিতুমীর কলেজের পঞ্চাশ বছর উদ্যাপন উৎসবের আহ্বায়ক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, প্রাক্তন ভিপি মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আশরাফ হোসেন, উপাধ্যক্ষ ড. আবেদা সুলতানা প্রমুখ।