শৈত্যপ্রবাহ বইছে ২৬ জেলায়
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:৪৫
ছবি পঞ্চগড় শহর থেকে রবিবার তোলা হয়েছে। ছবি: দেশ রূপান্তর
শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি জেলা। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে নতুন করে উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকাতে নতুন করে শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ। সব মিলে রবিবার দেশের প্রায় ২৬টি জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে রবিবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। যা এ শীত মৌসুমের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে দেশের অধিকাংশ স্থানে দিনের বেলা ঝলমলে সূর্যের কারণে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা।
অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে নতুন করে বেশি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা কম। সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন গত রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এছাড়া খুলনা, ঢাকা ও সিলেটের কিছু অঞ্চলেও শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। নতুন করে খুলনার দু-একটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। তবে সারা দেশেই শীতের মাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ব্যাপকভাবে বাড়ার শঙ্কা কম।’
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার শুধু রংপুরের তিনটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছিল। গত শনিবার তা ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়ে প্রায় ২০টি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ছিল রংপুর বিভাগের আটটি জেলা, রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা এবং খুলনার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ। এই ২০টি জেলার সঙ্গে গতকাল আরও ছয়টি জেলায় নতুন করে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এগুলোর মধ্যে আছে ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা, সিলেটের মৌলভীবাজার ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা।
এদিকে বিগত কয়েক দিনের গুমোট অবস্থার পর গতকাল রাজধানী ছিল রৌদ্র ঝলমল। এদিন প্রায় বিকেল পর্যন্ত আকাশে ছিল ঝলমলে সূর্য। ফলে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা। তবে কমেছে সর্বনিমœ তাপমাত্রা। আগের দিনের ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এতে রাতের বেলা শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হিমেল বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে আগামী কয়েক দিনে রাজধানীতে রাতের তাপমাত্রা বেশিমাত্রায় কমার শঙ্কা কম। শঙ্কা নেই শৈত্যপ্রবাহেরও। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, রাজধানীতে আগামী দু-এক দিন সর্বনিমœ তাপমাত্রা দশমিক ৫ ডিগ্রির মতো এদিক-সেদিক হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:৪৫

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি জেলা। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে নতুন করে উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকাতে নতুন করে শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ। সব মিলে রবিবার দেশের প্রায় ২৬টি জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে রবিবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। যা এ শীত মৌসুমের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে দেশের অধিকাংশ স্থানে দিনের বেলা ঝলমলে সূর্যের কারণে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা।
অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে নতুন করে বেশি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা কম। সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন গত রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এছাড়া খুলনা, ঢাকা ও সিলেটের কিছু অঞ্চলেও শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। নতুন করে খুলনার দু-একটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। তবে সারা দেশেই শীতের মাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ব্যাপকভাবে বাড়ার শঙ্কা কম।’
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার শুধু রংপুরের তিনটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছিল। গত শনিবার তা ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়ে প্রায় ২০টি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ছিল রংপুর বিভাগের আটটি জেলা, রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা এবং খুলনার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ। এই ২০টি জেলার সঙ্গে গতকাল আরও ছয়টি জেলায় নতুন করে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এগুলোর মধ্যে আছে ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা, সিলেটের মৌলভীবাজার ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা।
এদিকে বিগত কয়েক দিনের গুমোট অবস্থার পর গতকাল রাজধানী ছিল রৌদ্র ঝলমল। এদিন প্রায় বিকেল পর্যন্ত আকাশে ছিল ঝলমলে সূর্য। ফলে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা। তবে কমেছে সর্বনিমœ তাপমাত্রা। আগের দিনের ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এতে রাতের বেলা শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হিমেল বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে আগামী কয়েক দিনে রাজধানীতে রাতের তাপমাত্রা বেশিমাত্রায় কমার শঙ্কা কম। শঙ্কা নেই শৈত্যপ্রবাহেরও। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, রাজধানীতে আগামী দু-এক দিন সর্বনিমœ তাপমাত্রা দশমিক ৫ ডিগ্রির মতো এদিক-সেদিক হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।