দখলদারদের তালিকা নিয়ে আপত্তি থাকলে যাচাই-বাছাই হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:০৬
নদ-নদী দখলদারদের প্রকাশিত তালিকা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে সুপারিশ, পরামর্শ ও তা বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিশন সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি বই করেছে। এর ওপর মন্তব্য করার সুযোগ সবারই আছে। আর এ নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে সেটা জানানোর সুযোগও আছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করব। আমরা কাউকে জোরপূর্বক অপরাধের জায়গায় নিতে চাই না। কারও প্রতি অবিচার করা হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নদ-নদী দখলমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। কাউকে প্রতিপক্ষ নয়, সবার বৃহত্তর স্বার্থে নদী দখলমুক্ত করতে শক্তি প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ জন্য শোধিত বর্জ্য ফেলতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
তিনি জানান, ঢাকার আশপাশে নদ-নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে শিল্প বর্জ্য ফেলা বন্ধ করার পাশাপাশি যেসব শিল্প-কারখানায় তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) থাকবে না, সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
দখলকৃত খাল উদ্ধারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে একটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে দখল হওয়া খাল বা বক্স কালভার্ট উদ্ধার করা হবে। আমরা জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছি। যতই কঠিন হোক না কেন, এ পথ আমরা অতিক্রম করব।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:০৬

নদ-নদী দখলদারদের প্রকাশিত তালিকা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে সুপারিশ, পরামর্শ ও তা বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিশন সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি বই করেছে। এর ওপর মন্তব্য করার সুযোগ সবারই আছে। আর এ নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে সেটা জানানোর সুযোগও আছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করব। আমরা কাউকে জোরপূর্বক অপরাধের জায়গায় নিতে চাই না। কারও প্রতি অবিচার করা হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নদ-নদী দখলমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। কাউকে প্রতিপক্ষ নয়, সবার বৃহত্তর স্বার্থে নদী দখলমুক্ত করতে শক্তি প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ জন্য শোধিত বর্জ্য ফেলতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
তিনি জানান, ঢাকার আশপাশে নদ-নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে শিল্প বর্জ্য ফেলা বন্ধ করার পাশাপাশি যেসব শিল্প-কারখানায় তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) থাকবে না, সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
দখলকৃত খাল উদ্ধারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে একটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে দখল হওয়া খাল বা বক্স কালভার্ট উদ্ধার করা হবে। আমরা জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছি। যতই কঠিন হোক না কেন, এ পথ আমরা অতিক্রম করব।’