নতুন বছরে ছয় লাখ মামলা নিষ্পত্তির আশা আইনমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:৫৯
চলতি বছরে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ জন্য বিচারিক প্রোগ্রাম ও লোকবলের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে তিনি মামলা নিষ্পত্তিতে এডিআর (অলটারনেটিভ ডিসপিউট রেজুলেশন) বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন।
বুধবার ২০২০ সালের প্রথম দিনে রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘এখন ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মামলার যে কথা বলা হচ্ছে সেটির সঙ্গে প্রকৃত সংখ্যার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সেখানে হিসাব হচ্ছে ৩১ লাখ। এটি যাই হোক, এটি মামলার জট। আমাদের এ বছর লক্ষ্য থাকবে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলা কমিয়ে আনা। আমরা সেভাবেই বিচারিক যে প্রোগ্রাম, আদালতের লোকবল সেভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মামলা কমানোর যে পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি তা কিন্তু অবাস্তব নয়। আমরা চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘জাস্টিস অডিট নামে আমরা একটা পদ্ধতি চালু করেছি। প্রত্যেক তিন বছরে আমরা মামলার হিসাব নেই। শুধু তাই নয়, কি প্রকার মামলা, কোন বিষয়ে মামলা বেশি হচ্ছে সেসব বিষয়ে একটা ধারণা নিই।’
মামলা নিষ্পত্তিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ বিষয়টি এখনো জনগণের কাছে তেমনভাবে পরিচিত নয়। যে সব ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা আপসযোগ্য, সে বিষয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট আদালত যেন আদালতের বাইরে মীমাংসা করার জন্য বলেন। এ জন্য বিচারকদের উদ্যোগ নিতে হবে।’ বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে বলে মামলা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন আনিসুল হক।
এর আগে সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। এ ক্ষেত্রে বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যাতে কোনো হতাশা বা বিরূপ ধারণা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জনগণকে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে বিচারকদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সাবেক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:৫৯

চলতি বছরে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ জন্য বিচারিক প্রোগ্রাম ও লোকবলের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে তিনি মামলা নিষ্পত্তিতে এডিআর (অলটারনেটিভ ডিসপিউট রেজুলেশন) বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন।
বুধবার ২০২০ সালের প্রথম দিনে রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘এখন ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মামলার যে কথা বলা হচ্ছে সেটির সঙ্গে প্রকৃত সংখ্যার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সেখানে হিসাব হচ্ছে ৩১ লাখ। এটি যাই হোক, এটি মামলার জট। আমাদের এ বছর লক্ষ্য থাকবে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলা কমিয়ে আনা। আমরা সেভাবেই বিচারিক যে প্রোগ্রাম, আদালতের লোকবল সেভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মামলা কমানোর যে পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি তা কিন্তু অবাস্তব নয়। আমরা চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘জাস্টিস অডিট নামে আমরা একটা পদ্ধতি চালু করেছি। প্রত্যেক তিন বছরে আমরা মামলার হিসাব নেই। শুধু তাই নয়, কি প্রকার মামলা, কোন বিষয়ে মামলা বেশি হচ্ছে সেসব বিষয়ে একটা ধারণা নিই।’
মামলা নিষ্পত্তিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ বিষয়টি এখনো জনগণের কাছে তেমনভাবে পরিচিত নয়। যে সব ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা আপসযোগ্য, সে বিষয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট আদালত যেন আদালতের বাইরে মীমাংসা করার জন্য বলেন। এ জন্য বিচারকদের উদ্যোগ নিতে হবে।’ বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে বলে মামলা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন আনিসুল হক।
এর আগে সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। এ ক্ষেত্রে বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যাতে কোনো হতাশা বা বিরূপ ধারণা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জনগণকে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে বিচারকদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সাবেক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদ।