গত বছর রেল দুর্ঘটনায় ৪২১ জনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক | ৫ জানুয়ারি, ২০২০ ২৩:০১
সারা দেশে গত বছর ৩৯৩টি রেল দুর্ঘটনায় ৮৯ জন নারী ও ৪৬ জন শিশুসহ কমপক্ষে ৪২১ জন মারা গেছেন। এছাড়া চার নারী এবং ৩৩ শিশুসহ ৩৬৬ জন আহত হয়েছেন। পথচারীরা রেললাইন ও লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারি ১ থেকে ডিসেম্বর ৩১ পর্যন্ত ২৪টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র, ৯টি অনলাইন পোর্টাল এবং সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। সাংবাদিকদের প্ল্যাটফর্ম শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) রবিবার ‘বার্ষিক রেলওয়ে দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০১৯’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
এসসিআরএফ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর জানুয়ারিতে ৩৯টি দুর্ঘটনায় ১০ নারী ও চার শিশুসহ ৩৯ জন প্রাণ হারান এবং দুই শিশুসহ আটজন আহত হন। ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৪৬টি দুর্ঘটনায় ১০ নারী এবং চার শিশুসহ ৪৩ জন নিহত এবং এক নারী ও ১৩ শিশুসহ ২২ জন আহত হন।
মার্চে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ছয় নারী এবং চার শিশুসহ ৩৮ জন প্রাণ হারান। এক শিশুসহ সাতজন আহত হন। এপ্রিলে মোট ২৩টি দুর্ঘটনায় চার নারী ও তিন শিশুসহ ২৬ জন প্রাণ হারান এবং দুই শিশুসহ ছয়জন আহত হন।
মে মাসে প্রায় ৩০টি দুর্ঘটনায় আট নারী ও তিন শিশুসহ ৩০ জন নিহত হন। এছাড়া তিনজন আহত হন। জুনে ২৯টি দুর্ঘটনায় ৯ নারী ও তিন শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ৩৩ জন। এ মাসে ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ আহত হন।
জুলাই মাসে মোট ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৯ নারী ও সাত শিশুসহ ৪৬ জন নিহত হন। এছাড়া এক নারী ও এক শিশুসহ ৪৩ জন আহত হন। আগস্টে প্রায় ২৮টি দুর্ঘটনা ঘটে যাতে সাত নারী এবং চার শিশুসহ ২৯ জন প্রাণ হারায়। আহত হন ১০ জন।
সেপ্টেম্বরে ৩৩টি দুর্ঘটনায় ৯ নারী এবং দুই শিশুসহ ৩২ জন নিহত এবং দুই শিশু আহত হয়। অক্টোবরে মোট ৩৯টি দুর্ঘটনায় তিন নারী ও তিন শিশুসহ ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং এক নারী ও ১১ শিশুসহ ৩৮ জন আহত হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে ৫৪টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নারী ও ৯ শিশুসহ ৬৮ জন মারা যান। এছাড়া এক নারী ও এক শিশুসহ ১২২ জন আহত হন। গত ডিসেম্বরে ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন মারা যান এবং ৯ জন আহত হন।
এসসিআরএফ পর্যবেক্ষণে দেশে রেল দুর্ঘটনার পেছনে সাতটি বড় কারণ হলো- ১. অপরিকল্পিত রেল ক্রসিং, ২. রেল ক্রসিংয়ে প্রহরী না থাকা, ৩. রেললাইন অতিক্রম করার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার, ৪. বেশির ভাগ রেল ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া, ৫. ত্রুটিপূর্ণ সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং দুর্বল অবকাঠামো, ৬. চালকদের কারিগরি অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতা এবং ৭.পর্যাপ্ত জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকট।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৫ জানুয়ারি, ২০২০ ২৩:০১

সারা দেশে গত বছর ৩৯৩টি রেল দুর্ঘটনায় ৮৯ জন নারী ও ৪৬ জন শিশুসহ কমপক্ষে ৪২১ জন মারা গেছেন। এছাড়া চার নারী এবং ৩৩ শিশুসহ ৩৬৬ জন আহত হয়েছেন। পথচারীরা রেললাইন ও লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারি ১ থেকে ডিসেম্বর ৩১ পর্যন্ত ২৪টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র, ৯টি অনলাইন পোর্টাল এবং সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। সাংবাদিকদের প্ল্যাটফর্ম শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) রবিবার ‘বার্ষিক রেলওয়ে দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০১৯’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
এসসিআরএফ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর জানুয়ারিতে ৩৯টি দুর্ঘটনায় ১০ নারী ও চার শিশুসহ ৩৯ জন প্রাণ হারান এবং দুই শিশুসহ আটজন আহত হন। ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৪৬টি দুর্ঘটনায় ১০ নারী এবং চার শিশুসহ ৪৩ জন নিহত এবং এক নারী ও ১৩ শিশুসহ ২২ জন আহত হন।
মার্চে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ছয় নারী এবং চার শিশুসহ ৩৮ জন প্রাণ হারান। এক শিশুসহ সাতজন আহত হন। এপ্রিলে মোট ২৩টি দুর্ঘটনায় চার নারী ও তিন শিশুসহ ২৬ জন প্রাণ হারান এবং দুই শিশুসহ ছয়জন আহত হন।
মে মাসে প্রায় ৩০টি দুর্ঘটনায় আট নারী ও তিন শিশুসহ ৩০ জন নিহত হন। এছাড়া তিনজন আহত হন। জুনে ২৯টি দুর্ঘটনায় ৯ নারী ও তিন শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ৩৩ জন। এ মাসে ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ আহত হন।
জুলাই মাসে মোট ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৯ নারী ও সাত শিশুসহ ৪৬ জন নিহত হন। এছাড়া এক নারী ও এক শিশুসহ ৪৩ জন আহত হন। আগস্টে প্রায় ২৮টি দুর্ঘটনা ঘটে যাতে সাত নারী এবং চার শিশুসহ ২৯ জন প্রাণ হারায়। আহত হন ১০ জন।
সেপ্টেম্বরে ৩৩টি দুর্ঘটনায় ৯ নারী এবং দুই শিশুসহ ৩২ জন নিহত এবং দুই শিশু আহত হয়। অক্টোবরে মোট ৩৯টি দুর্ঘটনায় তিন নারী ও তিন শিশুসহ ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং এক নারী ও ১১ শিশুসহ ৩৮ জন আহত হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে ৫৪টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নারী ও ৯ শিশুসহ ৬৮ জন মারা যান। এছাড়া এক নারী ও এক শিশুসহ ১২২ জন আহত হন। গত ডিসেম্বরে ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন মারা যান এবং ৯ জন আহত হন।
এসসিআরএফ পর্যবেক্ষণে দেশে রেল দুর্ঘটনার পেছনে সাতটি বড় কারণ হলো- ১. অপরিকল্পিত রেল ক্রসিং, ২. রেল ক্রসিংয়ে প্রহরী না থাকা, ৩. রেললাইন অতিক্রম করার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার, ৪. বেশির ভাগ রেল ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া, ৫. ত্রুটিপূর্ণ সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং দুর্বল অবকাঠামো, ৬. চালকদের কারিগরি অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতা এবং ৭.পর্যাপ্ত জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকট।