কৃষকেরা পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি করায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুর প্রতিনিধি | ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:৪৯
ফাইল ফটো
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, গত বছর পেঁয়াজ ওঠানোর সময় অস্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকেরা ঠিকমতো পেঁয়াজ ওঠাতে পারেননি। পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য। ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করার কথা তা আমরা করতে পারিনি। ভারতও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। তাই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে। পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা এ মৌসুমে পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি করায় পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই পেঁয়াজের দাম কমছে না।
মন্ত্রী সোমবার সকালে গাজীপুর মহানগরীতে জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) কর্তৃক আয়োজিত ‘কৃষক-উদ্যোগ: বাণিজ্যিক কৃষির উদীয়মান চালক’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নাটা’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবু সাঈদ মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল। বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরউজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুয়িদ, নাটার উপপরিচালক ড. মো. ছাইদুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক শারমিন আক্তার প্রমুখ।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারিনি তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক দরদি ও কৃষক বান্ধব। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তিনি টিএসপি সারের দাম ২৫ টাকা থেকে ১৬ টাকায় নামিয়ে এনেছেন। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কৃষকদের জন্য এটি তার বিজয় দিবসের উপহার। এখন কৃষি ও কৃষি বিপণন ক্ষেত্রে সু-শাসন কায়েম করতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। এতে কৃষকেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন। আমরা নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য কৃষির ওপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি। আমরা যদি সবাই আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করি তবে সব ক্ষেত্রেই আমরা উন্নতি ও সু-শাসন নিশ্চিত করতে পারব।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
গাজীপুর প্রতিনিধি | ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:৪৯

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, গত বছর পেঁয়াজ ওঠানোর সময় অস্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকেরা ঠিকমতো পেঁয়াজ ওঠাতে পারেননি। পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য। ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করার কথা তা আমরা করতে পারিনি। ভারতও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। তাই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে। পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা এ মৌসুমে পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি করায় পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই পেঁয়াজের দাম কমছে না।
মন্ত্রী সোমবার সকালে গাজীপুর মহানগরীতে জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) কর্তৃক আয়োজিত ‘কৃষক-উদ্যোগ: বাণিজ্যিক কৃষির উদীয়মান চালক’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নাটা’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবু সাঈদ মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল। বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরউজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুয়িদ, নাটার উপপরিচালক ড. মো. ছাইদুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক শারমিন আক্তার প্রমুখ।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারিনি তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক দরদি ও কৃষক বান্ধব। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তিনি টিএসপি সারের দাম ২৫ টাকা থেকে ১৬ টাকায় নামিয়ে এনেছেন। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কৃষকদের জন্য এটি তার বিজয় দিবসের উপহার। এখন কৃষি ও কৃষি বিপণন ক্ষেত্রে সু-শাসন কায়েম করতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। এতে কৃষকেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন। আমরা নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য কৃষির ওপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি। আমরা যদি সবাই আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করি তবে সব ক্ষেত্রেই আমরা উন্নতি ও সু-শাসন নিশ্চিত করতে পারব।