ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়ক ফেলানীর নামে হোক: ডা. জাফরুল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ১৪:৪৭
গত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। কাঁটাতারের বেড়ায় সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হয় তার নিথর দেহ।
ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কের নাম দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের নামে করার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ দাবি করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ফেলানী হত্যার নয় বছরেও এর কোনো প্রতিকার না হওয়া আমাদের গালে চড় মারার মতো। ভারতীয়দের এ ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রোড ফেলানীর নামে নামকরণ করা হোক। ভারতীয়দের মনে করিয়ে দিতে হবে- অন্যায়কে আমরা ভুলে যাইনি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ছাড়া ভারতীয়দের এ অন্যায্য ব্যাপার বন্ধ করা যাবে না। ভারত জ্বলছে, ভারতের বিভক্তি আসন্ন। ভারতের ধ্বংস অনিবার্য। ভারতের ধ্বংসলীলা দেখতে থাকুন।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, ‘আজকে ভারতে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশ তার কোনো প্রতিবাদ নাই। সরকারের এই নতজানু ব্যবস্থাপনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা দেশবাসীর জন্য ভয়ঙ্কর অমঙ্গল ডেকে আনবে।’
তার দাবি, ‘ভারতীয় বাহিনী ১৫ বছর বয়সী ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল, তার কোনো প্রতিবাদ নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবেও ভারতীয় সরকারকে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, সাইফুল ইসলাম শেকল, জসিম উদ্দিন কবির, রায়হানুল ইসলাম ও মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ১৪:৪৭

ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কের নাম দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের নামে করার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ দাবি করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ফেলানী হত্যার নয় বছরেও এর কোনো প্রতিকার না হওয়া আমাদের গালে চড় মারার মতো। ভারতীয়দের এ ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রোড ফেলানীর নামে নামকরণ করা হোক। ভারতীয়দের মনে করিয়ে দিতে হবে- অন্যায়কে আমরা ভুলে যাইনি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ছাড়া ভারতীয়দের এ অন্যায্য ব্যাপার বন্ধ করা যাবে না। ভারত জ্বলছে, ভারতের বিভক্তি আসন্ন। ভারতের ধ্বংস অনিবার্য। ভারতের ধ্বংসলীলা দেখতে থাকুন।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, ‘আজকে ভারতে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশ তার কোনো প্রতিবাদ নাই। সরকারের এই নতজানু ব্যবস্থাপনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা দেশবাসীর জন্য ভয়ঙ্কর অমঙ্গল ডেকে আনবে।’
তার দাবি, ‘ভারতীয় বাহিনী ১৫ বছর বয়সী ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল, তার কোনো প্রতিবাদ নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবেও ভারতীয় সরকারকে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, সাইফুল ইসলাম শেকল, জসিম উদ্দিন কবির, রায়হানুল ইসলাম ও মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।