ইয়াবা পাচার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে মিয়ানমার-বাংলাদেশ ঐকমত্য
অনলাইন ডেস্ক | ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ১৬:১২
সীমান্তে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মানব ও ইয়াবা পাচার বন্ধে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
বুধবার পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স (এমপিএফ) এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবি ডিজি এ কথা বলেন।
মিয়ানমারের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ওই দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে মিয়ানমার পুলিশ প্রধানের এমন অভিযোগের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই এবং বাংলাদেশের ভূমি কোন অপরাধী অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয় না। এরপরও সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ক্যাম্প বা আস্তানা থাকার তথ্য পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ইয়াবার কারখানা পরিচালনা এবং ইয়াবা পাচারের বিষয়টি সম্মেলনে উত্থাপন করেন। এমপিএফ প্রধান জানান, এ ধরনের তথ্য আমাদের জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উভয় বাহিনীর যৌথ টহলের ফলে বিগত এক বছরে ইয়াবা পাচার অনেকটা কমে এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ, এমপিএফ পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান অবৈধ মাদক পাচার ও মাদক ব্যবসা প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, মাদক ব্যবসা তাদের সমাজেও একই প্রভাব ফেলেছে। তিনি মাদক পাচার রোধে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষই একে অপরের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া সীমানা রেখার উভয় পার্শ্বে ৫০ মিটার এর মধ্যে যে কোন ধরনের সীমানা লঙ্ঘন না করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সীমান্তে গোলাগুলি বা গুলি চালানোর ঘটনা (যদি থাকে) ঘটলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একে অপরকে জানাতে সম্মত হয়েছে। নিজ দেশের নাগরিক কর্তৃক অজ্ঞতাবশত সীমান্তরেখা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে উভয়ে দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তাদেরকে ফেরত পাঠাতে তৎপর থাকবে। সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা গুলির সমাধানে সঠিক তথ্য আদান-প্রদান করতে সম্মত হয়। সীমান্ত সুরক্ষা ও যথাযথ আইন প্রয়োগ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তে যৌথ টহল পরিচালনা কার্যক্রম চালিয়ে যেতেও উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে (বিজিবি) ৭ম সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়। এই সীমান্ত সম্মেলনে মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ, পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে, বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ১৬:১২

সীমান্তে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মানব ও ইয়াবা পাচার বন্ধে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
বুধবার পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স (এমপিএফ) এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবি ডিজি এ কথা বলেন।
মিয়ানমারের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ওই দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে মিয়ানমার পুলিশ প্রধানের এমন অভিযোগের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই এবং বাংলাদেশের ভূমি কোন অপরাধী অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয় না। এরপরও সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ক্যাম্প বা আস্তানা থাকার তথ্য পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ইয়াবার কারখানা পরিচালনা এবং ইয়াবা পাচারের বিষয়টি সম্মেলনে উত্থাপন করেন। এমপিএফ প্রধান জানান, এ ধরনের তথ্য আমাদের জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উভয় বাহিনীর যৌথ টহলের ফলে বিগত এক বছরে ইয়াবা পাচার অনেকটা কমে এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ, এমপিএফ পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান অবৈধ মাদক পাচার ও মাদক ব্যবসা প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, মাদক ব্যবসা তাদের সমাজেও একই প্রভাব ফেলেছে। তিনি মাদক পাচার রোধে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষই একে অপরের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া সীমানা রেখার উভয় পার্শ্বে ৫০ মিটার এর মধ্যে যে কোন ধরনের সীমানা লঙ্ঘন না করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সীমান্তে গোলাগুলি বা গুলি চালানোর ঘটনা (যদি থাকে) ঘটলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একে অপরকে জানাতে সম্মত হয়েছে। নিজ দেশের নাগরিক কর্তৃক অজ্ঞতাবশত সীমান্তরেখা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে উভয়ে দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তাদেরকে ফেরত পাঠাতে তৎপর থাকবে। সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা গুলির সমাধানে সঠিক তথ্য আদান-প্রদান করতে সম্মত হয়। সীমান্ত সুরক্ষা ও যথাযথ আইন প্রয়োগ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তে যৌথ টহল পরিচালনা কার্যক্রম চালিয়ে যেতেও উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে (বিজিবি) ৭ম সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়। এই সীমান্ত সম্মেলনে মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ, পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে, বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।