মুক্তির জন্য সামগ্রিক যুদ্ধ আজও শেষ হয়নি: গণপূর্তমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:৫০
মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ সময় পরেও মুক্তির জন্য সামগ্রিক যুদ্ধ আজও শেষ হয়নি বলে মনে করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতরা এখনো নিঃশেষ হয়নি। তাদের ধারাবাহিকতায় নতুন শত্রু মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে তাকে মনে ধারণ করে আমাদের সঞ্জীবনী শক্তিকে উজ্জীবিত করতে হবে। আমাদের আত্মস্থ করতে হবে আমরা কোথায় পৌঁছাতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতে নয়, সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মনে-প্রাণে ধারণ করা। দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, মাদক ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার যে যুদ্ধ, তা আজও শেষ হয়নি।
সম্প্রীতির বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সম্প্রীতির বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. সামাদ প্রমুখ।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সম্প্রীতির বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তিনি প্রথম বলেছিলেন বাঙালির ভালোবাসার ঋণ আমি বুকের রক্ত দিয়ে শোধ করে যাব। ১৯৭৫ সালে তিনিসহ তার গোটা পরিবার রক্ত দিয়ে বাঙালির ভালোবাসার ঋণ শোধ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী শাসকরা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তৎকালীন শাসক জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উৎসাহ প্রদান করেছিলেন। এ জন্য সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বলা হয়েছে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রদ্রোহী, রাষ্ট্র দখলকারী তস্কর।’
সাংবিধানিকভাবে দেশকে কোনো বিশেষ ধর্মের রাষ্ট্র করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের দেশ। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুক্ত করেছেন কোনো বিশেষ ধর্মের ব্যক্তি আলাদা সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। সবার জন্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা এক থাকবে। ৭২-এর সংবিধানের ধারণা তিনি পুনরায় প্রতিস্থাপন করেছেন।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:৫০

মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ সময় পরেও মুক্তির জন্য সামগ্রিক যুদ্ধ আজও শেষ হয়নি বলে মনে করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতরা এখনো নিঃশেষ হয়নি। তাদের ধারাবাহিকতায় নতুন শত্রু মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে তাকে মনে ধারণ করে আমাদের সঞ্জীবনী শক্তিকে উজ্জীবিত করতে হবে। আমাদের আত্মস্থ করতে হবে আমরা কোথায় পৌঁছাতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতে নয়, সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মনে-প্রাণে ধারণ করা। দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, মাদক ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার যে যুদ্ধ, তা আজও শেষ হয়নি।
সম্প্রীতির বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সম্প্রীতির বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. সামাদ প্রমুখ।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সম্প্রীতির বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তিনি প্রথম বলেছিলেন বাঙালির ভালোবাসার ঋণ আমি বুকের রক্ত দিয়ে শোধ করে যাব। ১৯৭৫ সালে তিনিসহ তার গোটা পরিবার রক্ত দিয়ে বাঙালির ভালোবাসার ঋণ শোধ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী শাসকরা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তৎকালীন শাসক জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উৎসাহ প্রদান করেছিলেন। এ জন্য সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বলা হয়েছে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রদ্রোহী, রাষ্ট্র দখলকারী তস্কর।’
সাংবিধানিকভাবে দেশকে কোনো বিশেষ ধর্মের রাষ্ট্র করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের দেশ। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুক্ত করেছেন কোনো বিশেষ ধর্মের ব্যক্তি আলাদা সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। সবার জন্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা এক থাকবে। ৭২-এর সংবিধানের ধারণা তিনি পুনরায় প্রতিস্থাপন করেছেন।’