ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাজধানী, বিমান ওঠানামা বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০৯:৩৬
প্রতীকী ছবি
ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাজধানী ঢাকা। এতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে গেছে।
বিবিসি বাংলা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার সময়েও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়।
ঘন কুয়াশার কারণে একটু দূরের বস্তুও দৃশ্যমান হচ্ছিল না। বহুতল ভবনগুলোকে মনে হচ্ছিল মেঘে ঢাকা আবছা কোনো কিছু।
এদিন ভোর থেকে বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ভোর ৫টা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই বিমানবন্দরটি থেকে কোনো বিমান ছেড়ে যায়নি। অবতরণ করেনি বিদেশ থেকে আসা কোনো বিমান।
অথচ ভোরবেলায় বেশ কয়েকটি বড় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এসে ঢাকায় অবতরণ করে। এসব ফ্লাইটে থাকে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা যাত্রীরা।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান জানান, কুয়াশার কারণে ভোর থেকে ‘ভিজিবিলিটি’ শূন্য হওয়ায় বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভিজিবিলিটি’ শূন্য হওয়ায় বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখতে হয়েছে আমাদের। ডোমেস্টিক বা ইন্টারন্যাশনাল রুটে কোনো ফ্লাইট ছেড়ে যায়নি ভোর থেকে। ভোর ৫টা থেকে ভিজিবিলিটি একেবারে জিরো। এ অবস্থায় ওঠানামা করতে পারে না বিমান।
রানওয়েতে সাধারণত দৃষ্টিসীমা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটার থাকলে বিমান ওঠানামা করে।
সাধারণত ভিজিবিলিটি বা দৃষ্টিসীমা তিন হাজার মিটার বা তার নিচে নামলেই আবহাওয়া অধিদপ্তর এভিয়েশন ওয়ার্নিং দেয়। সেটি দুই হাজার বা তার নিচে আসলে তখন বিমান নামতেও পারে না।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ বলেন, ‘ভোর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি ফ্লাইট নামার কথা ছিল শাহজালালে। কিন্তু কুয়াশার কারণে সেগুলো অন্য এয়ারপোর্টে ডাইভারশন করে দিতে হয়েছে।’
এ ফ্লাইটগুলোকে ব্যাংকক, মান্ডালা এবং কলকাতায় নামানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
কুয়াশা কাটলে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল আগের শিডিউল অনুযায়ী চলবে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। বিলম্বিত ফ্লাইটগুলোর সময় দ্রুতই নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবারও কুয়াশার কারণে একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এদিন অন্তত ছয় ঘণ্টা বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০৯:৩৬

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাজধানী ঢাকা। এতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে গেছে।
বিবিসি বাংলা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার সময়েও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়।
ঘন কুয়াশার কারণে একটু দূরের বস্তুও দৃশ্যমান হচ্ছিল না। বহুতল ভবনগুলোকে মনে হচ্ছিল মেঘে ঢাকা আবছা কোনো কিছু।
এদিন ভোর থেকে বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ভোর ৫টা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই বিমানবন্দরটি থেকে কোনো বিমান ছেড়ে যায়নি। অবতরণ করেনি বিদেশ থেকে আসা কোনো বিমান।
অথচ ভোরবেলায় বেশ কয়েকটি বড় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এসে ঢাকায় অবতরণ করে। এসব ফ্লাইটে থাকে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা যাত্রীরা।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান জানান, কুয়াশার কারণে ভোর থেকে ‘ভিজিবিলিটি’ শূন্য হওয়ায় বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভিজিবিলিটি’ শূন্য হওয়ায় বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখতে হয়েছে আমাদের। ডোমেস্টিক বা ইন্টারন্যাশনাল রুটে কোনো ফ্লাইট ছেড়ে যায়নি ভোর থেকে। ভোর ৫টা থেকে ভিজিবিলিটি একেবারে জিরো। এ অবস্থায় ওঠানামা করতে পারে না বিমান।
রানওয়েতে সাধারণত দৃষ্টিসীমা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটার থাকলে বিমান ওঠানামা করে।
সাধারণত ভিজিবিলিটি বা দৃষ্টিসীমা তিন হাজার মিটার বা তার নিচে নামলেই আবহাওয়া অধিদপ্তর এভিয়েশন ওয়ার্নিং দেয়। সেটি দুই হাজার বা তার নিচে আসলে তখন বিমান নামতেও পারে না।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ বলেন, ‘ভোর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি ফ্লাইট নামার কথা ছিল শাহজালালে। কিন্তু কুয়াশার কারণে সেগুলো অন্য এয়ারপোর্টে ডাইভারশন করে দিতে হয়েছে।’
এ ফ্লাইটগুলোকে ব্যাংকক, মান্ডালা এবং কলকাতায় নামানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
কুয়াশা কাটলে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল আগের শিডিউল অনুযায়ী চলবে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। বিলম্বিত ফ্লাইটগুলোর সময় দ্রুতই নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবারও কুয়াশার কারণে একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এদিন অন্তত ছয় ঘণ্টা বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।