নিশ্চয়ই অপরাধে সম্পৃক্ত বলে গ্রেপ্তার: শরিয়ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জানুয়ারি, ২০২০ ২০:১৮
শরিয়ত বয়াতি ‘নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের’ সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বিশেষ অপরাধে সম্পৃক্ত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বাউল শিল্পীরা এমন কোনো কাজ যেন না করে যার জন্য বাউল গান বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান করে নিয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তারা যেন সেই ধরনের কাজ যেন না করে। সেই ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা দরকার আর তাদেরও সচেতন করা দরকার।
জাসদের সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় বাউল গান ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে হাসানুল হক ইনু সম্প্রতি শরিয়ত বয়াতির গ্রেপ্তার হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আইসিটি আইনে শরিয়ত বাউলকে গ্রেপ্তার ও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বাউল শিল্পীদের চুল কেটে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাম থেকে তাড়িয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসকেরা যে জবর দখলের রাজনীতি শুরু করেছিল, তখন যাত্রা, পালাগানসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটি আক্রমণাত্মক তৎপরতা পরিচালনা করেছিল। তার রেশ এখনও চলছে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়ে বাউল গানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। তবে বাউল গানের তো কোনো দোষ নেই। কিন্তু বাউল গান যারা করেন তাদের ব্যক্তি বিশেষ কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত হলে আইন তার আপন গতিতে চলবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর সাথে গানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর যারা বাউল গান গাচ্ছেন তারা সবাই অপরাধের ঊর্ধ্বে-এই গ্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবেন? বাউল শিল্পীরা কোনো অপরাধ করেন না বা করেননি- এটা তো ঠিক নয়। নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলার রৌহাট্টেক পীর এ কামেল হযরত হেলাল শাহ’র দশম বার্ষিক মিলন মেলায় পরিবেশনায় মুসলমানদের ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের অভিযোগ ওঠে শরিয়ত বয়াতির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আগধল্যা গ্রামের জামে মসজিদের ঈমাম ফরিদুল ইসলাম মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।
পরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে জেল হাজতে নেওয়া হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জানুয়ারি, ২০২০ ২০:১৮

শরিয়ত বয়াতি ‘নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের’ সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বিশেষ অপরাধে সম্পৃক্ত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বাউল শিল্পীরা এমন কোনো কাজ যেন না করে যার জন্য বাউল গান বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান করে নিয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তারা যেন সেই ধরনের কাজ যেন না করে। সেই ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা দরকার আর তাদেরও সচেতন করা দরকার।
জাসদের সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় বাউল গান ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে হাসানুল হক ইনু সম্প্রতি শরিয়ত বয়াতির গ্রেপ্তার হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আইসিটি আইনে শরিয়ত বাউলকে গ্রেপ্তার ও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বাউল শিল্পীদের চুল কেটে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাম থেকে তাড়িয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসকেরা যে জবর দখলের রাজনীতি শুরু করেছিল, তখন যাত্রা, পালাগানসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটি আক্রমণাত্মক তৎপরতা পরিচালনা করেছিল। তার রেশ এখনও চলছে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়ে বাউল গানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। তবে বাউল গানের তো কোনো দোষ নেই। কিন্তু বাউল গান যারা করেন তাদের ব্যক্তি বিশেষ কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত হলে আইন তার আপন গতিতে চলবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর সাথে গানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর যারা বাউল গান গাচ্ছেন তারা সবাই অপরাধের ঊর্ধ্বে-এই গ্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবেন? বাউল শিল্পীরা কোনো অপরাধ করেন না বা করেননি- এটা তো ঠিক নয়। নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলার রৌহাট্টেক পীর এ কামেল হযরত হেলাল শাহ’র দশম বার্ষিক মিলন মেলায় পরিবেশনায় মুসলমানদের ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের অভিযোগ ওঠে শরিয়ত বয়াতির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আগধল্যা গ্রামের জামে মসজিদের ঈমাম ফরিদুল ইসলাম মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।
পরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে জেল হাজতে নেওয়া হয়।