আড়ম্বরে সরস্বতীপূজা উদযাপিত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:৫০
বিপুল আড়ম্বরে সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতীপূজা উদযাপিত হয়েছে। বিদ্যাদেবীর কৃপা লাভের আশায় বৃহস্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এই পূজার আয়োজন করা হয়।
পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে চলে বাণী অর্চনা। এই পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাজধানীসহ সারা দেশে মহল্লায় মহল্লায় পূজামণ্ডপগুলো দেবীর পাদপদ্মে অঞ্জলি দেন ভক্তরা। এ ছাড়া দেবীর সামনে হাতেখড়ি দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা করা হয় অনেক জায়গায়। কিছু কিছু মণ্ডপে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বরাবরের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে মহাসমারোহে সরস্বতী দেবীর আরাধনা হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয় পূজা অর্চনা। এরপর ৯টায় শুরু হয় অঞ্জলি প্রদান। সন্ধ্যা ৬টায় হয় আরতি অনুষ্ঠান। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট জগন্নাথ হল চত্বর জুড়ে বিভিন্ন ধারণাভিত্তিক ৭০টির বেশি মণ্ডপ নির্মাণ করে।
জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে হল প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত একটি পূজা ছাড়াও এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল হলপুকুরে চারুকলা অনুষদের তৈরি ৩২ ফুট দীর্ঘ বিশাল আকৃতির একটি প্রতিমা।
এ ছাড়া মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অবস্থিত রাজধানী স্কুলমাঠে পূজার আয়োজন করে জাতীয় সংসদ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। সরস্বতীপূজার উৎসবমুখর আমেজ ছিল ঢাকার বাইরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও।
যশোরে সরস্বতীপূজার সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল সরকারি এমএম কলেজে। সেখানে যশোরের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও পূজ অর্চনায় অংশ নেন।
সরস্বতীপূজায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও রঙিন আলোয় সাজানো হয়। নগরীর মূল পূজার আয়োজন ছিল জেএম সেন হলে। ভোরবেলা থেকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যাদেবীকে অঞ্জলি দেন। এরপর সারা দিন চলে প্রসাদ বিতরণ। সন্ধ্যায় আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ বছরের সরস্বতীপূজা।
চট্টগ্রামের পাড়া-মহল্লাতেও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতীপূজার আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:৫০

বিপুল আড়ম্বরে সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতীপূজা উদযাপিত হয়েছে। বিদ্যাদেবীর কৃপা লাভের আশায় বৃহস্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এই পূজার আয়োজন করা হয়।
পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে চলে বাণী অর্চনা। এই পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাজধানীসহ সারা দেশে মহল্লায় মহল্লায় পূজামণ্ডপগুলো দেবীর পাদপদ্মে অঞ্জলি দেন ভক্তরা। এ ছাড়া দেবীর সামনে হাতেখড়ি দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা করা হয় অনেক জায়গায়। কিছু কিছু মণ্ডপে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বরাবরের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে মহাসমারোহে সরস্বতী দেবীর আরাধনা হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয় পূজা অর্চনা। এরপর ৯টায় শুরু হয় অঞ্জলি প্রদান। সন্ধ্যা ৬টায় হয় আরতি অনুষ্ঠান। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট জগন্নাথ হল চত্বর জুড়ে বিভিন্ন ধারণাভিত্তিক ৭০টির বেশি মণ্ডপ নির্মাণ করে।
জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে হল প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত একটি পূজা ছাড়াও এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল হলপুকুরে চারুকলা অনুষদের তৈরি ৩২ ফুট দীর্ঘ বিশাল আকৃতির একটি প্রতিমা।
এ ছাড়া মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অবস্থিত রাজধানী স্কুলমাঠে পূজার আয়োজন করে জাতীয় সংসদ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। সরস্বতীপূজার উৎসবমুখর আমেজ ছিল ঢাকার বাইরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও।
যশোরে সরস্বতীপূজার সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল সরকারি এমএম কলেজে। সেখানে যশোরের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও পূজ অর্চনায় অংশ নেন।
সরস্বতীপূজায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও রঙিন আলোয় সাজানো হয়। নগরীর মূল পূজার আয়োজন ছিল জেএম সেন হলে। ভোরবেলা থেকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যাদেবীকে অঞ্জলি দেন। এরপর সারা দিন চলে প্রসাদ বিতরণ। সন্ধ্যায় আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ বছরের সরস্বতীপূজা।
চট্টগ্রামের পাড়া-মহল্লাতেও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতীপূজার আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো।