রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে আইসিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ২২:২৬
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)।
মঙ্গলবার আইসিসি অফিস অফ প্রসিকিউটর (ওটিপি) এর পরিচালক ফাকিসো মোচোচোকো রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এটি (তদন্ত) ইতিমধ্যে চলছে। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার করা হবে। সূত্র: বাসস।
তিনি বলেন, তাদের এই তদন্তে ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাসভূমিতে সংঘটিত সহিংসতার সঙ্গে সাধারণ সৈনিক থেকে শুরু করে জেনারেল বা অন্য যে কারও অপরাধী হয়েছে জড়িত থাকার বিষয় উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ইউএন সমর্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট আব জাস্টিস (আইসিজে) মিয়ানমারকে গণহত্যা রোধ করতে ‘তার ক্ষমতার মধ্যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ’ করার আদেশ দেন। এই আদেশের দুই সপ্তাহ পরে এই ঘোষণা দিল ওপিটি নামে পরিচিত আইসিসির প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
ওপিটি নামে পরিচিত আইসিসির প্রসিকিউটরের কার্যালয়টি ইউএন সমর্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) মিয়ানমারকে গণহত্যা রোধ করতে ‘তার ক্ষমতার মধ্যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ’ করার আদেশের বিশদ শুনানির রায় ঘোষণার দুই সপ্তাহ পরে এই ঘোষণা দিয়েছে।
আইসিআইজে প্যানেলের ১৭ সদস্যের সব বিচারকই সর্বসম্মতিক্রমে পর্যবেক্ষণ করেছেন রোহিঙ্গাদের ওপর এখনো গণহত্যার ‘মারাত্মক ঝুঁকি’ রয়েছে।
আইসিজে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইস্যু মীমাংসা বাধ্যতামূলক। আইসিসিকে আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য ব্যক্তিদের বিচার করার এবং তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির প্রসিকিউটর অফিসার পরিচালক বলেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়াটি ‘দীর্ঘ, কঠোর এবং চ্যালেঞ্জিং’ এবং এটি এক বছর, দুই বছর, তিন বছর বা আরও সময় নিতে পারে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ২২:২৬

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)।
মঙ্গলবার আইসিসি অফিস অফ প্রসিকিউটর (ওটিপি) এর পরিচালক ফাকিসো মোচোচোকো রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এটি (তদন্ত) ইতিমধ্যে চলছে। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার করা হবে। সূত্র: বাসস।
তিনি বলেন, তাদের এই তদন্তে ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাসভূমিতে সংঘটিত সহিংসতার সঙ্গে সাধারণ সৈনিক থেকে শুরু করে জেনারেল বা অন্য যে কারও অপরাধী হয়েছে জড়িত থাকার বিষয় উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ইউএন সমর্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট আব জাস্টিস (আইসিজে) মিয়ানমারকে গণহত্যা রোধ করতে ‘তার ক্ষমতার মধ্যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ’ করার আদেশ দেন। এই আদেশের দুই সপ্তাহ পরে এই ঘোষণা দিল ওপিটি নামে পরিচিত আইসিসির প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
ওপিটি নামে পরিচিত আইসিসির প্রসিকিউটরের কার্যালয়টি ইউএন সমর্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) মিয়ানমারকে গণহত্যা রোধ করতে ‘তার ক্ষমতার মধ্যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ’ করার আদেশের বিশদ শুনানির রায় ঘোষণার দুই সপ্তাহ পরে এই ঘোষণা দিয়েছে।
আইসিআইজে প্যানেলের ১৭ সদস্যের সব বিচারকই সর্বসম্মতিক্রমে পর্যবেক্ষণ করেছেন রোহিঙ্গাদের ওপর এখনো গণহত্যার ‘মারাত্মক ঝুঁকি’ রয়েছে।
আইসিজে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইস্যু মীমাংসা বাধ্যতামূলক। আইসিসিকে আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য ব্যক্তিদের বিচার করার এবং তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির প্রসিকিউটর অফিসার পরিচালক বলেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়াটি ‘দীর্ঘ, কঠোর এবং চ্যালেঞ্জিং’ এবং এটি এক বছর, দুই বছর, তিন বছর বা আরও সময় নিতে পারে।