তৈরির সময় সরকার টাকা দিলে লাভের সময় ইচ্ছামতো বোনাস নেবে: অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ২২:১১
ফাইল ফটো।
সংসদে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যদের সমালোচনার মুখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, একবার চিন্তা করে দেখেন। সাইফুর রহমান চার্টার্ড একাউনটেন্ট ছিলেন। আমিও তাই। আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বুধবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে এসব বলেন। এর আগে তিনি স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরিতে বিল পাসের জন্য সংসদে তোলেন।
বিলটিকে ‘কালো আইন’ হিসেবে উল্লেখ করে বিরোধীরা শেয়ারবাজারে ধস, অর্থপাচার ও ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না কেন, সে প্রশ্ন তুলে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের সমালোচনা করেন। অর্থমন্ত্রীকে একজন ‘ব্যবসায়ী’ হিসেবেও অভিহিত করেন কেউ কেউ।
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, অর্থমন্ত্রী অসাধারণ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সাধারণ অবস্থা থেকে ব্যবসায়ী হয়েছেন। উনি অর্থনীতি বোঝেন না এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তাহলে সমস্যটা কোথায়? উনার সদিচ্ছার অভাব। এত মেধাবী তিনি কিন্তু শেয়ারবাজার, খেলাপি ঋণ নিয়ে কিছু করলেন না।
এসব সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে নিজেকে ‘বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী’ দাবি করে মুস্তফা কামাল বলেন, পারসোনাল লেভেলে কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। আমিও অনেক কিছু বলতে পারি। সবারই বিষয়েই আমি জানি।”
উল্লেখ্য, লন্ডনভিত্তিক ‘দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ গ্রুপের সাময়িকী ‘দ্য ব্যাংকার’ গেল মাসে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ‘ফাইন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ইয়ার ২০২০’ ঘোষণা করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এত বক্তৃতা শুনতে ভালো লাগে নাই। আপনারা এক সময় দায়িত্বে ছিলেন। কী কাজ করেছেন? পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে জানা দরকার। বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত। আপনারা বলছেন, ব্যাংক, শেয়ার বাজার সব খালি করে ফেলেছি। আপনাদের সময় পুঁজিবাজার কী ছিল? আপনাদের সময় ইনডেক্স কী ছিল? এবার সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। অর্থনীতিতে ওঠানামা থাকে।
বিলের পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কার টাকার তৈরি হয়েছে? সরকারের টাকায়। জনগণের টাকায়। তৈরির সময় যদি সরকার টাকা দেয় তবে লাভের সময় ইচ্ছামতো বোনাস নেবে।
পরে ৬১টি সংস্থার তহবিলের উদ্বৃত্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়ার জন্য বিলটি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের তীব্র বিরোধিতা ও সমালোচনার মুখেও কণ্ঠভোটে পাস হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ২২:১১

সংসদে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যদের সমালোচনার মুখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, একবার চিন্তা করে দেখেন। সাইফুর রহমান চার্টার্ড একাউনটেন্ট ছিলেন। আমিও তাই। আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বুধবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে এসব বলেন। এর আগে তিনি স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরিতে বিল পাসের জন্য সংসদে তোলেন।
বিলটিকে ‘কালো আইন’ হিসেবে উল্লেখ করে বিরোধীরা শেয়ারবাজারে ধস, অর্থপাচার ও ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না কেন, সে প্রশ্ন তুলে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের সমালোচনা করেন। অর্থমন্ত্রীকে একজন ‘ব্যবসায়ী’ হিসেবেও অভিহিত করেন কেউ কেউ।
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, অর্থমন্ত্রী অসাধারণ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সাধারণ অবস্থা থেকে ব্যবসায়ী হয়েছেন। উনি অর্থনীতি বোঝেন না এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তাহলে সমস্যটা কোথায়? উনার সদিচ্ছার অভাব। এত মেধাবী তিনি কিন্তু শেয়ারবাজার, খেলাপি ঋণ নিয়ে কিছু করলেন না।
এসব সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে নিজেকে ‘বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী’ দাবি করে মুস্তফা কামাল বলেন, পারসোনাল লেভেলে কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। আমিও অনেক কিছু বলতে পারি। সবারই বিষয়েই আমি জানি।”
উল্লেখ্য, লন্ডনভিত্তিক ‘দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ গ্রুপের সাময়িকী ‘দ্য ব্যাংকার’ গেল মাসে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ‘ফাইন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ইয়ার ২০২০’ ঘোষণা করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এত বক্তৃতা শুনতে ভালো লাগে নাই। আপনারা এক সময় দায়িত্বে ছিলেন। কী কাজ করেছেন? পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে জানা দরকার। বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত। আপনারা বলছেন, ব্যাংক, শেয়ার বাজার সব খালি করে ফেলেছি। আপনাদের সময় পুঁজিবাজার কী ছিল? আপনাদের সময় ইনডেক্স কী ছিল? এবার সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। অর্থনীতিতে ওঠানামা থাকে।
বিলের পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কার টাকার তৈরি হয়েছে? সরকারের টাকায়। জনগণের টাকায়। তৈরির সময় যদি সরকার টাকা দেয় তবে লাভের সময় ইচ্ছামতো বোনাস নেবে।
পরে ৬১টি সংস্থার তহবিলের উদ্বৃত্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়ার জন্য বিলটি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের তীব্র বিরোধিতা ও সমালোচনার মুখেও কণ্ঠভোটে পাস হয়।