বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০১:১০
ছবি: দেশ রূপান্তর
বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পলিথিনের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে এটি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আশির দশকে আমরা বাজারে যাওয়ার সময় সাথে ঝুড়ি কিংবা চটের ব্যাগ নিয়ে যেতাম। এখন সবাই খালি হাতে বাজারে যায় এবং পলিথিনে বাজার করে নিয়ে আসে। আমরা সরিষার তেলের জন্য একটি এবং কেরোসিন তেলের জন্য একটি করে শিশি (বোতল) নিয়ে যেতাম। এখন আধুনিকতার নামে খালি হাতে গিয়ে পলিথিনে বাজার করে নিয়ে আসছি। এতে করে দেশটাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এর পরিণাম ভয়াবহ হবে।’
শিক্ষার্থীদের পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতলের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় ফাস্টফুড ও বিভিন্ন সফট ড্রিংসের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তা বর্জনেরও আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সভাপতিত্ব সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তর্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. হারুনর রশীদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলীমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সমাবর্তনে প্রায় ৩ হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশ নিচ্ছেন। যার মধ্যে সœাতক ১ হাজার ৯৬৮, সœাতকোত্তর ৯৫১ ও পিএইচডি ৯ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিভিএম থেকে ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ হতে ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সœাতক ও অন্যান্য সব অনুষদ থেকে ২০০৫-০৬ শিক্ষার্বষ হতে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সœাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রী এবং জানুয়ারি-জুন ২০১৯ সেশন পর্যন্ত এমএস/এমবিএ ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী ছাত্রছাত্রীদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদ প্রদান করা হবে। সমাবর্তনে ৬৩ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পটুয়াখালী প্রতিনিধি | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০১:১০
.jpg)
বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পলিথিনের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে এটি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আশির দশকে আমরা বাজারে যাওয়ার সময় সাথে ঝুড়ি কিংবা চটের ব্যাগ নিয়ে যেতাম। এখন সবাই খালি হাতে বাজারে যায় এবং পলিথিনে বাজার করে নিয়ে আসে। আমরা সরিষার তেলের জন্য একটি এবং কেরোসিন তেলের জন্য একটি করে শিশি (বোতল) নিয়ে যেতাম। এখন আধুনিকতার নামে খালি হাতে গিয়ে পলিথিনে বাজার করে নিয়ে আসছি। এতে করে দেশটাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এর পরিণাম ভয়াবহ হবে।’
শিক্ষার্থীদের পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতলের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় ফাস্টফুড ও বিভিন্ন সফট ড্রিংসের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তা বর্জনেরও আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সভাপতিত্ব সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তর্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. হারুনর রশীদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলীমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সমাবর্তনে প্রায় ৩ হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশ নিচ্ছেন। যার মধ্যে সœাতক ১ হাজার ৯৬৮, সœাতকোত্তর ৯৫১ ও পিএইচডি ৯ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিভিএম থেকে ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ হতে ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সœাতক ও অন্যান্য সব অনুষদ থেকে ২০০৫-০৬ শিক্ষার্বষ হতে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সœাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রী এবং জানুয়ারি-জুন ২০১৯ সেশন পর্যন্ত এমএস/এমবিএ ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী ছাত্রছাত্রীদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদ প্রদান করা হবে। সমাবর্তনে ৬৩ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে।