আইইডিসিআর এর সংবাদ সম্মেলন
করোনাভাইরাস আতঙ্কে সবার মাস্ক ব্যবহারের দরকার নেই
অনলাইন ডেস্ক | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৯:৩৬
সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর করোনাভাইরাস আতঙ্কে সবার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে।
তারা জানায়, শুধু চীনফেরতদের কেউ অসুস্থ হলে তিনি ও তার সেবাদাতারা মাস্ক ব্যবহার করবেন।
বৃহস্পতিবার মহাখালীতে আইইডিসিআরে করোনাভাইরাস ঠেকাতে পদক্ষেপের সর্বশেষ তথ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব বলেন।
তিনি বলেন, অনেকের মধ্যে কনফিউশন আছে মাস্ক ব্যবহার করবে কি করবে না। আমাদের দেশে এখনও নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। যারা চীন থেকে এসেছে তাদেরকেও আমরা আইসোলেশনে রেখেছি। সুতরাং সবার মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন নাই।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীন থেকে আসা সন্দেহজনক ব্যক্তি যার জ্বর, কাশি, গলাব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে সে মাস্ক ব্যবহার করবে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সেবাদাতা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যারা হোম আইসোলেশনে আছেন বা উহান থেকে যারা এসেছেন তাদের সংস্পর্শে যারা যাবেন তারা মাস্ক ব্যবহার করবেন। এছাড়া চিকিৎসক যারা আছেন তাদের মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে এনে আশকোনায় হজক্যাম্পে রাখা কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই বলে আইইডিসিআরের পরিচালক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের হজক্যাম্পে যারা আছেন তাদের মধ্যে এ রোগের কোনো লক্ষণ-উপসর্গ নেই। তারা কেউ রোগী নয়, তারা সবাই সুস্থ। তারা মাস্ক ব্যবহার করেন। সুতরাং তাদের কাছ থেকেও রোগটি ছড়ানোর আশঙ্কা আমরা করছি না।
নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই এ ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়ায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন এমন সন্দেহে বুধবার পর্যন্ত ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরেই করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, উহানফেরতদের মধ্যে যে তিনজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে দুজনকে আশকোনা হজক্যাম্পে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একজনের ‘কাফ ইনজুরি’ থাকায় তাকে সেখানে রাখা হয়েছে। আর জ্বর নিয়ে সিএমএইচে যাওয়া শিশুটির নমুনা পরীক্ষার ফল এখনও পাওয়া যায়নি।
আশকোনার হজক্যাম্পে অবস্থানকারীদের পরিবারের সদস্যরা চাইলে আইইডিসিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এজন্য প্রতিদিন বেলা ৩টায় তারা আসতে পারেন বলে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে যে যখন আসবেন তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে পারবেন। এমনকি করোনাভাইরাস নিয়ে কিছু জানার থাকলেও তারা আমাদের কাছে জানতে পারবেন।
আইইডিসিআরের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা সাত হাজার ৬৯৩ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং হয়েছে ১৩৬ জনের। এদের কারও শরীরেই করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়নি।
খবর: বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৯:৩৬

সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর করোনাভাইরাস আতঙ্কে সবার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে।
তারা জানায়, শুধু চীনফেরতদের কেউ অসুস্থ হলে তিনি ও তার সেবাদাতারা মাস্ক ব্যবহার করবেন।
বৃহস্পতিবার মহাখালীতে আইইডিসিআরে করোনাভাইরাস ঠেকাতে পদক্ষেপের সর্বশেষ তথ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব বলেন।
তিনি বলেন, অনেকের মধ্যে কনফিউশন আছে মাস্ক ব্যবহার করবে কি করবে না। আমাদের দেশে এখনও নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। যারা চীন থেকে এসেছে তাদেরকেও আমরা আইসোলেশনে রেখেছি। সুতরাং সবার মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন নাই।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীন থেকে আসা সন্দেহজনক ব্যক্তি যার জ্বর, কাশি, গলাব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে সে মাস্ক ব্যবহার করবে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সেবাদাতা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যারা হোম আইসোলেশনে আছেন বা উহান থেকে যারা এসেছেন তাদের সংস্পর্শে যারা যাবেন তারা মাস্ক ব্যবহার করবেন। এছাড়া চিকিৎসক যারা আছেন তাদের মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে এনে আশকোনায় হজক্যাম্পে রাখা কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই বলে আইইডিসিআরের পরিচালক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের হজক্যাম্পে যারা আছেন তাদের মধ্যে এ রোগের কোনো লক্ষণ-উপসর্গ নেই। তারা কেউ রোগী নয়, তারা সবাই সুস্থ। তারা মাস্ক ব্যবহার করেন। সুতরাং তাদের কাছ থেকেও রোগটি ছড়ানোর আশঙ্কা আমরা করছি না। নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই এ ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়ায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন এমন সন্দেহে বুধবার পর্যন্ত ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরেই করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, উহানফেরতদের মধ্যে যে তিনজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে দুজনকে আশকোনা হজক্যাম্পে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একজনের ‘কাফ ইনজুরি’ থাকায় তাকে সেখানে রাখা হয়েছে। আর জ্বর নিয়ে সিএমএইচে যাওয়া শিশুটির নমুনা পরীক্ষার ফল এখনও পাওয়া যায়নি।
আশকোনার হজক্যাম্পে অবস্থানকারীদের পরিবারের সদস্যরা চাইলে আইইডিসিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এজন্য প্রতিদিন বেলা ৩টায় তারা আসতে পারেন বলে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে যে যখন আসবেন তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে পারবেন। এমনকি করোনাভাইরাস নিয়ে কিছু জানার থাকলেও তারা আমাদের কাছে জানতে পারবেন।
আইইডিসিআরের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা সাত হাজার ৬৯৩ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং হয়েছে ১৩৬ জনের। এদের কারও শরীরেই করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়নি।
খবর: বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম।