করোনাভাইরাস
চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৮:৩০
নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্ক নিয়ে চীনে অবস্থানরত ১৭১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। চীনে থাকা নাগরিকদের অন্তত কিছুদিন সেখানে থেকে তারপর দেশে ফেরার পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর বাগে করোনাভাইরাসের উৎসস্থল হিসেবে বিবেচিত চীনের উহান থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩১২ বাংলাদেশিকে বিমানের একটি উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরত আনা হয়। কিন্তু এরপর থেকে ওই পাইলটদের অন্য দেশ ঢুকতে দিতে না চাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিমান।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্ক নিয়ে চীনের বিভিন্ন শহরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের অনেকে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে মোমেন বলেন, যারা এখন আসতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা অনেক খরচ করেছি। তারপরও সম্ভব হচ্ছে না। বিমানের ক্রুরা কেউ বাইরে যেতে পারছে না, বিমান কোথাও যেতে পারছে না। সিঙ্গাপুরে পর্যন্ত যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, একমাত্র চাইনিজ চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের আনা সম্ভব হতো। একপর্যায়ে চীন রাজিও হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা না করে দিয়েছে। আমরা তো কোনো ফ্লাইট পাঠাতে পারছি না, কোনো ক্রুও যেতে চাচ্ছে না।
চীনে অবস্থানরত ওই বাংলাদেশিদের অন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে জানিয়ে মোমেন বলেন, তাদের খাওয়া-দাওয়া চাইনিজরা এনশিওর করছে। ২৩টি জায়গায় বাংলাদেশিরা থাকে, সবগুলো জায়গাতেই খাবার, পানি সময়মতো পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা। তারা খাবার সংকটে আছে বলে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, তা সঠিক না।
তিনি জানান, আমাদের দূতাবাস ওদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করছে। ৩৮৪ জনের একটা গ্রুপ কনটিনিউয়াসলি খোঁজ নিচ্ছে তাদের।
নতুন ধরনের এই ভাইরাসে চীনে ইতিমধ্যে সাত শতাধিক মানুষ মারা গেছে, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। চীন থেকে দুই ডজনের বেশি দেশে সংক্রমিত হয়েছে প্রাণ সংহারী এই ভাইরাস।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৮:৩০

নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্ক নিয়ে চীনে অবস্থানরত ১৭১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। চীনে থাকা নাগরিকদের অন্তত কিছুদিন সেখানে থেকে তারপর দেশে ফেরার পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর বাগে করোনাভাইরাসের উৎসস্থল হিসেবে বিবেচিত চীনের উহান থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩১২ বাংলাদেশিকে বিমানের একটি উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরত আনা হয়। কিন্তু এরপর থেকে ওই পাইলটদের অন্য দেশ ঢুকতে দিতে না চাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিমান।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্ক নিয়ে চীনের বিভিন্ন শহরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের অনেকে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে মোমেন বলেন, যারা এখন আসতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা অনেক খরচ করেছি। তারপরও সম্ভব হচ্ছে না। বিমানের ক্রুরা কেউ বাইরে যেতে পারছে না, বিমান কোথাও যেতে পারছে না। সিঙ্গাপুরে পর্যন্ত যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, একমাত্র চাইনিজ চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের আনা সম্ভব হতো। একপর্যায়ে চীন রাজিও হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা না করে দিয়েছে। আমরা তো কোনো ফ্লাইট পাঠাতে পারছি না, কোনো ক্রুও যেতে চাচ্ছে না।
চীনে অবস্থানরত ওই বাংলাদেশিদের অন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে জানিয়ে মোমেন বলেন, তাদের খাওয়া-দাওয়া চাইনিজরা এনশিওর করছে। ২৩টি জায়গায় বাংলাদেশিরা থাকে, সবগুলো জায়গাতেই খাবার, পানি সময়মতো পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা। তারা খাবার সংকটে আছে বলে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, তা সঠিক না।
তিনি জানান, আমাদের দূতাবাস ওদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করছে। ৩৮৪ জনের একটা গ্রুপ কনটিনিউয়াসলি খোঁজ নিচ্ছে তাদের।
নতুন ধরনের এই ভাইরাসে চীনে ইতিমধ্যে সাত শতাধিক মানুষ মারা গেছে, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। চীন থেকে দুই ডজনের বেশি দেশে সংক্রমিত হয়েছে প্রাণ সংহারী এই ভাইরাস।