নকল ওষুধ বিক্রি ঠেকাতে কঠোর আইন হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:৩৭
ফাইল ফটো
জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রেখে বিদ্যমান ওষুধ আইনকে আরও যুগোপযোগী করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনটির অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রবিবার জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সাংসদ বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন এবং বিক্রির দায়ে ৩৯ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৪৪টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা মূল্যের নকল-ভেজাল ওষুধ।’
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য মমতা হেনা লাভলীর অন্য প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তামাক সেবনের কারণে ১২ লাখ মানুষ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকাল পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে। এসব রোগের মধ্যে অন্যতম ফুসফুস ক্যানসার ও ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যা প্রধানত ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হয়। মুখগহ্বরের ক্যানসার, যা প্রধানত ধোঁয়াবিহীন বিভিন্ন তামাক সেবন, পানের সঙ্গে জর্দা বা সাদাপাতার ব্যবহার এবং মাড়িতে গুল ব্যবহারের কারণে হয়। টোব্যাকো অ্যাটলাস ২০১৮ অনুযায়ী, তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক লোক মৃত্যুবরণ করে। তামাক হচ্ছে এমন একটি ক্ষতিকর পণ্য, যা উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন– প্রতিটি ড়্গেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির ক্ষতি করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একটি খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি কৌশলপত্রও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:৩৭

জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রেখে বিদ্যমান ওষুধ আইনকে আরও যুগোপযোগী করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনটির অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রবিবার জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সাংসদ বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন এবং বিক্রির দায়ে ৩৯ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৪৪টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা মূল্যের নকল-ভেজাল ওষুধ।’
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য মমতা হেনা লাভলীর অন্য প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তামাক সেবনের কারণে ১২ লাখ মানুষ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকাল পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে। এসব রোগের মধ্যে অন্যতম ফুসফুস ক্যানসার ও ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যা প্রধানত ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হয়। মুখগহ্বরের ক্যানসার, যা প্রধানত ধোঁয়াবিহীন বিভিন্ন তামাক সেবন, পানের সঙ্গে জর্দা বা সাদাপাতার ব্যবহার এবং মাড়িতে গুল ব্যবহারের কারণে হয়। টোব্যাকো অ্যাটলাস ২০১৮ অনুযায়ী, তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক লোক মৃত্যুবরণ করে। তামাক হচ্ছে এমন একটি ক্ষতিকর পণ্য, যা উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন– প্রতিটি ড়্গেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির ক্ষতি করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একটি খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি কৌশলপত্রও চূড়ান্ত করা হয়েছে।