রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উষ্মা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০১:১০
ফাইল ফটো
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্লিপ্ততায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কণ্ঠ আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্য অনেক স্বার্থের কারণে এটা হচ্ছে না। নিপীড়নের মুখে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাত লাখসহ প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঝুলে আছে মিয়ানমার সরকারের পদক্ষেপহীনতার কারণে।
রোহিঙ্গাদের ফেরানোর পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের নিজের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই শতাব্দীতে এসে আপনারা কি এটা বিশ্বাস করতে পারেন! এই মানুষদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, কোনো আশা নেই। তারা বছরের পর বছর নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে। কিন্তু তাদের রাষ্ট্র চাওয়া ও তাদের চাওয়ার ড়্গেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কণ্ঠ এখনো খুবই দুর্বল।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় পাচারকালে রোহিঙ্গাদের মারা যাওয়ার বিষয়টিও বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গার পাচার একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) এই অনুষ্ঠানে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন ও নবাগত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার ব্রেন্ট টি ক্রিস্টেনসেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০১:১০

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্লিপ্ততায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কণ্ঠ আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্য অনেক স্বার্থের কারণে এটা হচ্ছে না। নিপীড়নের মুখে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাত লাখসহ প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঝুলে আছে মিয়ানমার সরকারের পদক্ষেপহীনতার কারণে।
রোহিঙ্গাদের ফেরানোর পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের নিজের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই শতাব্দীতে এসে আপনারা কি এটা বিশ্বাস করতে পারেন! এই মানুষদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, কোনো আশা নেই। তারা বছরের পর বছর নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে। কিন্তু তাদের রাষ্ট্র চাওয়া ও তাদের চাওয়ার ড়্গেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কণ্ঠ এখনো খুবই দুর্বল।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় পাচারকালে রোহিঙ্গাদের মারা যাওয়ার বিষয়টিও বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গার পাচার একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) এই অনুষ্ঠানে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন ও নবাগত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার ব্রেন্ট টি ক্রিস্টেনসেন।