পৃথিবীর সব জায়গাতেই মশা আছে, বাংলাদেশেও মশা আছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৬:৫৩
সারা পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সব জায়গাতেই মশা আছে, বাংলাদেশেও মশা আছে।
তিনি আরও বলেন, এবার যাতে রাজধানীবাসীকে মশার উপদ্রব সহ্য করতে না হয় সে জন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
রবিবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মশা মারতে মন্ত্রণালয়ের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমার তো মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, আর সারাক্ষণই ফলোআপ করছি, এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য এবং এ জন্য কাজ করা হচ্ছে।
গত বছর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সরকারি হিসেবে পুরো বছরে এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআরের হিসেবে ডেঙ্গুর কারণে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এবার ডেঙ্গু নিয়ে অভয় দিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে হয় আমরা আতঙ্কিত না হয়ে… সারা পৃথিবীতে বহু সমস্যা আছে। যেমন চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, তবে তারা হাল ছেড়ে দেয়নি, চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, সকল সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল প্রতিষ্ঠান এই ভেক্টর (ডেঙ্গুর বাহক মশা) ম্যানেজমেন্টে কাজ করছি। গত বছরের যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা আরও বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি।
কীটনাশক ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে উপকারী অন্যান্য পোকামাকড় যাতে না মরে সেদিকে খেয়াল রাখার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তাজুল।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে ১০ মিলিয়ন পোকামাকড় আছে, যার মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এমন ওষুধ স্প্রে করা যাবে না যাতে ক্ষতিকর পতঙ্গ দমন করতে গিয়ে উপকারী পোকামাকড়ও মরে যায়। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
দেশে মশার ওষুধের মজুত রয়েছে এবং কিছু ওষুধ দেশে তৈরি হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ যে ওষুধে যে মশা মরছে আগামী বছর ওই ওষুধে সেটা মারা নাও যেতে পারে। সে জন্য বহু জায়গায় এ নিয়ে রিসার্চ হয়। এসব বিষয় নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৬:৫৩

সারা পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সব জায়গাতেই মশা আছে, বাংলাদেশেও মশা আছে।
তিনি আরও বলেন, এবার যাতে রাজধানীবাসীকে মশার উপদ্রব সহ্য করতে না হয় সে জন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
রবিবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মশা মারতে মন্ত্রণালয়ের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমার তো মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, আর সারাক্ষণই ফলোআপ করছি, এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য এবং এ জন্য কাজ করা হচ্ছে।
গত বছর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সরকারি হিসেবে পুরো বছরে এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআরের হিসেবে ডেঙ্গুর কারণে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এবার ডেঙ্গু নিয়ে অভয় দিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে হয় আমরা আতঙ্কিত না হয়ে… সারা পৃথিবীতে বহু সমস্যা আছে। যেমন চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, তবে তারা হাল ছেড়ে দেয়নি, চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, সকল সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল প্রতিষ্ঠান এই ভেক্টর (ডেঙ্গুর বাহক মশা) ম্যানেজমেন্টে কাজ করছি। গত বছরের যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা আরও বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি।
কীটনাশক ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে উপকারী অন্যান্য পোকামাকড় যাতে না মরে সেদিকে খেয়াল রাখার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তাজুল।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে ১০ মিলিয়ন পোকামাকড় আছে, যার মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এমন ওষুধ স্প্রে করা যাবে না যাতে ক্ষতিকর পতঙ্গ দমন করতে গিয়ে উপকারী পোকামাকড়ও মরে যায়। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
দেশে মশার ওষুধের মজুত রয়েছে এবং কিছু ওষুধ দেশে তৈরি হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ যে ওষুধে যে মশা মরছে আগামী বছর ওই ওষুধে সেটা মারা নাও যেতে পারে। সে জন্য বহু জায়গায় এ নিয়ে রিসার্চ হয়। এসব বিষয় নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।