যাত্রীদের ধারণা দিতে ঢাকায় মেট্রোরেলের রেপ্লিকা কোচ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৬:১৭
মেট্রোরেলের একটি রেপ্লিকা কোচ ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রো রেলের ডিপোতে নমুনা কোচটি খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এটি যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে মেট্রোরেল ছিল না। মানুষকে ধারণা দিতেই এটা আমরা ডিপোতে বসাব। মেট্রোরেলের এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে এই ‘মক-আপ ট্রেন’ রাখা হবে।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এটি রাখা হচ্ছে যাতে মানুষ জানতে পারে ট্রেনে কীভাবে টিকেট কাটতে হবে, কীভাবে উঠতে হবে, দরজা কোন দিকে, কীভাবে নামতে হবে। এখানে সম্পূর্ণ ট্রেন থাকবে না, একটা অংশ থাকবে। মার্চে তথ্য কেন্দ্রটি সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি।
তিনি বলেন, অন্যান্য আরও জিনিস এক্সিবিশন সেন্টারে থাকবে। আমরা সেগুলো একটা একটা করে আনব। এগুলো আনার পর মার্চের প্রথম দিকে সেন্টারটি চালুর একটা দিন ঠিক করতে পারব।
জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে তৈরি করিয়ে আনা ওই নমুনা কোচটি দেখতে হবে মূল কোচগুলোর মতই।
মূল কোচগুলো ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানান এম এ এন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, কোচগুলো জাপানে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে আসার পর এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে মিল রেখে চলতে পারছে কিনা তা দেখতে ট্রায়াল রান চলবে। এভাবে একটা একটা করে ট্রেন আসবে এবং ট্রায়াল রানের মাধ্যমে প্রস্তুতি সারা হবে।
উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল-৬ বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা, যার ৭৫ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে জাপান সরকারের সহযোগিতা সংস্থা জাইকা।
২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন শুরু করা যাবে বলে আশা করছে সরকার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৬:১৭

মেট্রোরেলের একটি রেপ্লিকা কোচ ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রো রেলের ডিপোতে নমুনা কোচটি খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এটি যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে মেট্রোরেল ছিল না। মানুষকে ধারণা দিতেই এটা আমরা ডিপোতে বসাব। মেট্রোরেলের এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে এই ‘মক-আপ ট্রেন’ রাখা হবে। এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এটি রাখা হচ্ছে যাতে মানুষ জানতে পারে ট্রেনে কীভাবে টিকেট কাটতে হবে, কীভাবে উঠতে হবে, দরজা কোন দিকে, কীভাবে নামতে হবে। এখানে সম্পূর্ণ ট্রেন থাকবে না, একটা অংশ থাকবে। মার্চে তথ্য কেন্দ্রটি সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি।
তিনি বলেন, অন্যান্য আরও জিনিস এক্সিবিশন সেন্টারে থাকবে। আমরা সেগুলো একটা একটা করে আনব। এগুলো আনার পর মার্চের প্রথম দিকে সেন্টারটি চালুর একটা দিন ঠিক করতে পারব।
জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে তৈরি করিয়ে আনা ওই নমুনা কোচটি দেখতে হবে মূল কোচগুলোর মতই। মূল কোচগুলো ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানান এম এ এন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, কোচগুলো জাপানে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে আসার পর এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে মিল রেখে চলতে পারছে কিনা তা দেখতে ট্রায়াল রান চলবে। এভাবে একটা একটা করে ট্রেন আসবে এবং ট্রায়াল রানের মাধ্যমে প্রস্তুতি সারা হবে।
উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল-৬ বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা, যার ৭৫ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে জাপান সরকারের সহযোগিতা সংস্থা জাইকা।
২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন শুরু করা যাবে বলে আশা করছে সরকার।