মোদি এলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ মার্চ, ২০২০ ১৭:২৬
মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে। কাজেই সম্পর্ক যখন আছে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে, শক্তিশালী হবে। এটিই আমরা আশা করি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সাক্ষাৎ হলে সমস্যা নিয়ে তো উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবেই। তবে আমাদের যে সম্পর্ক এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। আরও কিছু ইস্যু আছে যেগুলো সমাধানের জন্য দিন গুনছে এবং আলোচনায়ও অগ্রগতি আছে।
তিনি বলেন, ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা বিবেচনা করে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানো উচিত। তার আসা প্রতিহত করার ঘোষণায় বিব্রত নয় সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, উচিত হচ্ছে না। তাদের স্বাগত জানানো উচিত। নরেন্দ্র মোদির সফরে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের জনগণ অতিথির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এনআরসি সমস্যা সমাধানের কোন আশ্বাস পাওয়া গেল কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন একটা উপলক্ষ নিয়ে, সেটা হলো মুজিব বর্ষ। আমাদের সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধনে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে ১৮ তারিখ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অবশ্যই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হওয়ার সুযোগ আছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ মার্চ, ২০২০ ১৭:২৬

মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে। কাজেই সম্পর্ক যখন আছে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে, শক্তিশালী হবে। এটিই আমরা আশা করি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সাক্ষাৎ হলে সমস্যা নিয়ে তো উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবেই। তবে আমাদের যে সম্পর্ক এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। আরও কিছু ইস্যু আছে যেগুলো সমাধানের জন্য দিন গুনছে এবং আলোচনায়ও অগ্রগতি আছে।
তিনি বলেন, ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা বিবেচনা করে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানো উচিত। তার আসা প্রতিহত করার ঘোষণায় বিব্রত নয় সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, উচিত হচ্ছে না। তাদের স্বাগত জানানো উচিত। নরেন্দ্র মোদির সফরে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের জনগণ অতিথির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এনআরসি সমস্যা সমাধানের কোন আশ্বাস পাওয়া গেল কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন একটা উপলক্ষ নিয়ে, সেটা হলো মুজিব বর্ষ। আমাদের সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধনে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে ১৮ তারিখ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অবশ্যই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হওয়ার সুযোগ আছে।