সীমান্ত হত্যা বন্ধে উদ্যোগ নিতে শ্রিংলাকে অনুরোধ মোমেনের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ মার্চ, ২০২০ ১৮:৫৯
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সোমবার সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এই আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠক শেষে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি বললাম, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের জিরো কিলিং হবে বর্ডারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ বছরে কিলিংটা অনেক বেড়ে গেছে, এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।
তিনি বলেন, আমি বললাম, আপনারা আমাদের বন্ধু মানুষ। এই বন্ধুদের মধ্যে কিলিং হওয়া ঠিক না।
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সীমান্ত হত্যা বন্ধে ‘চেষ্টা চালাবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দিতে আগামী ১৭ মার্চ ঢাকায় আসতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদির আগমন সামনে রেখে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন শ্রিংলা, যিনি কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সকালে সোনারগাঁও হোটেলে ’বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া: এ প্রমিজিং ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
সাক্ষাতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বললাম যে, আমাদের তিস্তা… আপনারা বললেন যে, সবকিছু রেডি আছে, কিন্তু এখনও এটা শেষ হলো না। উনি বললেন যে, মোটামুটি এটাতে অসুবিধা আছে উনাদের, কিন্তু আশা করতেছি, এটা আগামীতে হবে।
তিস্তার বাইরে অন্য ছয়টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে মোদীর সফরে চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনার কথা শ্রিংলা বলেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উনি বললেন যে, আরও কয়েকটি নদী আছে, সেটা আমরা মোটামুটি ফাইনালাইজড করে ফেলেছি এবং আশা করতেছি, প্রধানমন্ত্রী মোদী আসলে পরে…আপনারা গতবারে আমাদের ফেনী নদীর কিছু সাহায্য করেছেন এবং এখন ভারতের প্রয়োজন আপনাদেরকে সাহায্য করা। বললাম, দিস ইজ গুড। উনি বললেন, ‘এবার আমরা আপনাদের প্রতিদান দিতে চাই’।
ভারতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে চলমান সহিংসতার বিষয়টি আলোচনায় তোলার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, তোমাদের দেশের অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো আমাদের দেশে সময়ে সময়ে চিন্তার কারণ হয়। উদ্বেগ আমাদের জনগণও করে এবং সে জনগণের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। সেসব সম্পর্কে আমরা চাই তোমরা এমন কোনো কাজ করবা না, যাতে আমাদের অসুবিধার সৃষ্টি হয়। উনি (শ্রিংলা) বললেন যে, ইস্যুগুলো কোনোভাবে বাংলাদেশকে অ্যাফেক্ট করবে না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ মার্চ, ২০২০ ১৮:৫৯

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সোমবার সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এই আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠক শেষে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি বললাম, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের জিরো কিলিং হবে বর্ডারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ বছরে কিলিংটা অনেক বেড়ে গেছে, এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।
তিনি বলেন, আমি বললাম, আপনারা আমাদের বন্ধু মানুষ। এই বন্ধুদের মধ্যে কিলিং হওয়া ঠিক না।
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সীমান্ত হত্যা বন্ধে ‘চেষ্টা চালাবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দিতে আগামী ১৭ মার্চ ঢাকায় আসতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদির আগমন সামনে রেখে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন শ্রিংলা, যিনি কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সকালে সোনারগাঁও হোটেলে ’বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া: এ প্রমিজিং ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
সাক্ষাতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বললাম যে, আমাদের তিস্তা… আপনারা বললেন যে, সবকিছু রেডি আছে, কিন্তু এখনও এটা শেষ হলো না। উনি বললেন যে, মোটামুটি এটাতে অসুবিধা আছে উনাদের, কিন্তু আশা করতেছি, এটা আগামীতে হবে।
তিস্তার বাইরে অন্য ছয়টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে মোদীর সফরে চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনার কথা শ্রিংলা বলেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উনি বললেন যে, আরও কয়েকটি নদী আছে, সেটা আমরা মোটামুটি ফাইনালাইজড করে ফেলেছি এবং আশা করতেছি, প্রধানমন্ত্রী মোদী আসলে পরে…আপনারা গতবারে আমাদের ফেনী নদীর কিছু সাহায্য করেছেন এবং এখন ভারতের প্রয়োজন আপনাদেরকে সাহায্য করা। বললাম, দিস ইজ গুড। উনি বললেন, ‘এবার আমরা আপনাদের প্রতিদান দিতে চাই’।
ভারতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে চলমান সহিংসতার বিষয়টি আলোচনায় তোলার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, তোমাদের দেশের অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো আমাদের দেশে সময়ে সময়ে চিন্তার কারণ হয়। উদ্বেগ আমাদের জনগণও করে এবং সে জনগণের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। সেসব সম্পর্কে আমরা চাই তোমরা এমন কোনো কাজ করবা না, যাতে আমাদের অসুবিধার সৃষ্টি হয়। উনি (শ্রিংলা) বললেন যে, ইস্যুগুলো কোনোভাবে বাংলাদেশকে অ্যাফেক্ট করবে না।