৭ মার্চ পালন না করা স্বাধীনতাকে অস্বীকার : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ মার্চ, ২০২০ ০১:০৫
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন না করার অর্থ দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সমগ্র জাতি এ দিবস পালন করলেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল এটি পালন করে না। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণকে স্বীকৃতি দিতে পারেনি।’
শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্য ভবন মিলনায়তনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ কোনো দলের নয়, সমগ্র জাতির। ইউনেস্কো এই ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে ঘোষণা ও স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দ্বারপ্রান্তে বিএনপি ভুলের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে এবং ভবিষ্যতে ৭ মার্চ পালন করবে। তাহলে দেশের মানুষ তাদের বাহবা দেবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঙালির রক্তে আগুন ধরিয়েছিল। এই ভাষণ নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিল। এই ভাষণের পরেই স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই দিনে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’– এই কথার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক নয়, কার্যত স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, ‘তার সেদিনের ভাষণ আমজাদ আলী খন্দকার ও সৈয়দ মইনুল আহসানসহ যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংরক্ষণ করেছিলেন তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যে মুনশিয়ানা তা তার বক্তৃতা ও কথার মাধ্যমে ফুটে উঠেছিল। সেই কারণে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। গণনা করা হলে ৭ মার্চের ভাষণই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শোনা ভাষণ। এই ভাষণ এমন একটি ভাষণ যেটি মানুষকে থমকে দেয় এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত না শুনলে অপূর্ণতা থেকে যায়।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স. ম. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় তথ্য সচিব কামরুন নাহার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ মার্চ, ২০২০ ০১:০৫

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন না করার অর্থ দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সমগ্র জাতি এ দিবস পালন করলেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল এটি পালন করে না। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণকে স্বীকৃতি দিতে পারেনি।’
শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্য ভবন মিলনায়তনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ কোনো দলের নয়, সমগ্র জাতির। ইউনেস্কো এই ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে ঘোষণা ও স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দ্বারপ্রান্তে বিএনপি ভুলের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে এবং ভবিষ্যতে ৭ মার্চ পালন করবে। তাহলে দেশের মানুষ তাদের বাহবা দেবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঙালির রক্তে আগুন ধরিয়েছিল। এই ভাষণ নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিল। এই ভাষণের পরেই স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই দিনে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’– এই কথার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক নয়, কার্যত স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, ‘তার সেদিনের ভাষণ আমজাদ আলী খন্দকার ও সৈয়দ মইনুল আহসানসহ যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংরক্ষণ করেছিলেন তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যে মুনশিয়ানা তা তার বক্তৃতা ও কথার মাধ্যমে ফুটে উঠেছিল। সেই কারণে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। গণনা করা হলে ৭ মার্চের ভাষণই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শোনা ভাষণ। এই ভাষণ এমন একটি ভাষণ যেটি মানুষকে থমকে দেয় এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত না শুনলে অপূর্ণতা থেকে যায়।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স. ম. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় তথ্য সচিব কামরুন নাহার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।