টেলিভিশন, সামাজিক মাধ্যমে ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ মার্চ, ২০২০ ২১:২৯
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে মুজিব বর্ষের আয়োজনে। সেই সুবাদে ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় জনসমাগম এড়াতে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে ১৭ মার্চ টেলিভিশন, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক সম্প্রচার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
তিনি জানান, পাশাপাশি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের কর্মসূচি থাকবে। এ ছাড়া মুজিব বর্ষের চূড়ান্ত হওয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হবে। এর বাইরে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিবেচনায় বিভিন্ন দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানরাও উদ্বোধনী দিনে থাকছেন না।
সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কার্যালয়ে এক সভা শেষে এসব বলেন কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্যারেড গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলেও করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে সেটি হচ্ছে না। সেই আয়োজনের পরিবর্তে টিভি, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্ঠান প্রচার হবে। এ জন্য সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে প্রধান করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মুজিব বর্ষে বিভিন্ন স্কুল, কলেজেও সীমিত পর্যায়ে অনুষ্ঠান করা হবে। এ ছাড়া মুজিব বর্ষের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানেও পুনর্বিন্যাস করা করা হবে। কোন কোন অনুষ্ঠান হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করা হবে।
কামাল চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সে কারণে মুজিব বর্ষে শুধু অনুষ্ঠান নয়, বরং মানুষের সেবা ও কল্যাণে কাজ করবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোহিদসহ কোনো বিদেশি অতিথিও আসছেন না মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী আয়োজনে। মুজিব বর্ষে বিদেশি অতিথিদের আগমনের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্যারেড গ্রাউন্ডের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানসূচি নিয়েও সোমবারের সভায় আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে কামাল চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় কমিটির প্রধান শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে এই সূচি চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া যেকোনো অনুষ্ঠানেই জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, চিত্রনায়ক আলমগীর, সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ অনেকে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ মার্চ, ২০২০ ২১:২৯

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে মুজিব বর্ষের আয়োজনে। সেই সুবাদে ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় জনসমাগম এড়াতে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে ১৭ মার্চ টেলিভিশন, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক সম্প্রচার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
তিনি জানান, পাশাপাশি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের কর্মসূচি থাকবে। এ ছাড়া মুজিব বর্ষের চূড়ান্ত হওয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হবে। এর বাইরে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিবেচনায় বিভিন্ন দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানরাও উদ্বোধনী দিনে থাকছেন না।
সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কার্যালয়ে এক সভা শেষে এসব বলেন কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্যারেড গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলেও করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে সেটি হচ্ছে না। সেই আয়োজনের পরিবর্তে টিভি, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্ঠান প্রচার হবে। এ জন্য সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে প্রধান করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মুজিব বর্ষে বিভিন্ন স্কুল, কলেজেও সীমিত পর্যায়ে অনুষ্ঠান করা হবে। এ ছাড়া মুজিব বর্ষের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানেও পুনর্বিন্যাস করা করা হবে। কোন কোন অনুষ্ঠান হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করা হবে।
কামাল চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সে কারণে মুজিব বর্ষে শুধু অনুষ্ঠান নয়, বরং মানুষের সেবা ও কল্যাণে কাজ করবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোহিদসহ কোনো বিদেশি অতিথিও আসছেন না মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী আয়োজনে। মুজিব বর্ষে বিদেশি অতিথিদের আগমনের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্যারেড গ্রাউন্ডের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানসূচি নিয়েও সোমবারের সভায় আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে কামাল চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় কমিটির প্রধান শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে এই সূচি চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া যেকোনো অনুষ্ঠানেই জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, চিত্রনায়ক আলমগীর, সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ অনেকে।