পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে: আইইডিসিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ মার্চ, ২০২০ ১৫:৫১
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারিবারিক পর্যায়ে কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
সরকারি সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, এখন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমেই করোনা ছড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক জানান, দেশে আরও দুই করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত একজন ইতালি ফেরত। আরেকজন আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর মাধ্যমে। ওই প্রবাসী ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি- পারিবারিকভাবে খুব শক্তভাবে আমাদের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। কারণ, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আমরা সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি।’
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত স্থানীয় বা সামাজিক সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া তৈরি পোশাক কারখানার মতো যেসব প্রতিষ্ঠানে অনেকে কাছাকাছি বসেন, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘অফিসে আসার সময়, কারখানায় প্রবেশ করার সময় পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা উচিত। দেখা উচিত কারও মধ্যে এ ধরনের লক্ষণ উপসর্গ অর্থাৎ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি রয়েছে কিনা। সেক্ষেত্রে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে, যতদিন তারা সুস্থ না হন।’
‘এক্ষেত্রে আমরা মালিকদের অনুরোধ করবো, তাদের যেন সবেতন ছুটি দেওয়া হয়। না হলে তারা হয়তো তাদের শারীরিক অসুস্থতার তথ্য গোপন করতে পারেন। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি’ যোগ করেন তিনি।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিদেশি ক্রেতারা এলেও যেখানে অনেক কর্মী থাকেন, সেখানে যেন তারা ভ্রমণ না করেন।’
তিনি আরও বলেন, কারও জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই করোনা আক্রান্ত বলে মনে করার কারণ নেই। বিদেশ ফেরত হলে বা এরকম কারও সংস্পর্শে এলে এবং লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যাওয়ার বা আইইডিসিআরে আসার কোনো দরকার নেই।
‘বরং হটলাইনে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেওয়া যাবে। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আসবে’ যোগ করেন তিনি।
সর্বশেষ শনাক্ত দুজনসহ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য আক্রান্ত প্রথম তিনজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ মার্চ, ২০২০ ১৫:৫১

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারিবারিক পর্যায়ে কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
সরকারি সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, এখন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমেই করোনা ছড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক জানান, দেশে আরও দুই করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত একজন ইতালি ফেরত। আরেকজন আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর মাধ্যমে। ওই প্রবাসী ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি- পারিবারিকভাবে খুব শক্তভাবে আমাদের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। কারণ, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আমরা সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি।’
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত স্থানীয় বা সামাজিক সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া তৈরি পোশাক কারখানার মতো যেসব প্রতিষ্ঠানে অনেকে কাছাকাছি বসেন, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘অফিসে আসার সময়, কারখানায় প্রবেশ করার সময় পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা উচিত। দেখা উচিত কারও মধ্যে এ ধরনের লক্ষণ উপসর্গ অর্থাৎ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি রয়েছে কিনা। সেক্ষেত্রে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে, যতদিন তারা সুস্থ না হন।’
‘এক্ষেত্রে আমরা মালিকদের অনুরোধ করবো, তাদের যেন সবেতন ছুটি দেওয়া হয়। না হলে তারা হয়তো তাদের শারীরিক অসুস্থতার তথ্য গোপন করতে পারেন। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি’ যোগ করেন তিনি।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিদেশি ক্রেতারা এলেও যেখানে অনেক কর্মী থাকেন, সেখানে যেন তারা ভ্রমণ না করেন।’
তিনি আরও বলেন, কারও জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই করোনা আক্রান্ত বলে মনে করার কারণ নেই। বিদেশ ফেরত হলে বা এরকম কারও সংস্পর্শে এলে এবং লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যাওয়ার বা আইইডিসিআরে আসার কোনো দরকার নেই।
‘বরং হটলাইনে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেওয়া যাবে। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আসবে’ যোগ করেন তিনি।
সর্বশেষ শনাক্ত দুজনসহ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য আক্রান্ত প্রথম তিনজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।