আমরা জেগে রইব তোমার আদর্শ বুকে নিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ মার্চ, ২০২০ ২১:০১
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে ভাষণ ও অনুষ্ঠানমালায় মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী মুজিবর্ষের আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
নভেল করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারি রূপ নেওয়ার প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদ্যাপনের প্রস্তুতি থাকলেও তার পরিসর সীমিত করে আনা হয়।
নিজের এবং বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে সবাইকে মুজিবর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা ভাষণের শুরুতে বলেন, আমরা জেগে রইব তোমার আদর্শ বুকে নিয়ে। জেগে থাকবে এদেশের মানুষ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে। তোমার দেওয়া পতাকা সমুন্নত থাকবে চিরদিন।
তিনি বলেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাকে ব্যথিত করত। অধিকারহারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। এই বঙ্গভূমির বঙ্গ-সন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন-তাই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’।
শেখ হাসিনা বলেন, ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছে তোমাকে। তোমার দেহ রক্তাক্ত করেছে। তোমার নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা পারেনি।
তিনি বলেন, ঘাতকেরা বুঝতে পারেনি, তোমার রক্ত ৩২ নম্বর বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ছড়িয়ে গেছে সারা বাংলাদেশ। জন্ম দিয়েছে কোটি কোটি মুজিবের। তাই আজ জেগে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ সত্যের অন্বেষণে।
বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমার কাছে আমাদের অঙ্গীকার, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বই। আর সেদিন বেশি দূরে নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তার ত্যাগ বৃথা যায়নি। আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। গড়তে হবে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তুমি ঘুমাও পিতা শান্তিতে। তোমার বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
তরুণদের জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঠিক যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন, সেভাবেই ভালোবাসতে হবে। তার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন সীমিত করার কথাও তুলে ধরে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে যেসব দেশের সরকার প্রধান ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন ও যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা মুজিববর্ষ উদ্যাপনে অংশীদার হয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশ, ইউনেসকো, ওআইসি-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মুজিববর্ষ উদ্যাপনে অংশীদার হয়েছে। সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পরপর তিন বার সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে মুজিববর্ষ উদ্যাপনের সুযোগ করে দেওয়ায় দেশবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ মার্চ, ২০২০ ২১:০১

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে ভাষণ ও অনুষ্ঠানমালায় মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী মুজিবর্ষের আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
নভেল করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারি রূপ নেওয়ার প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদ্যাপনের প্রস্তুতি থাকলেও তার পরিসর সীমিত করে আনা হয়।
নিজের এবং বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে সবাইকে মুজিবর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা ভাষণের শুরুতে বলেন, আমরা জেগে রইব তোমার আদর্শ বুকে নিয়ে। জেগে থাকবে এদেশের মানুষ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে। তোমার দেওয়া পতাকা সমুন্নত থাকবে চিরদিন।
তিনি বলেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাকে ব্যথিত করত। অধিকারহারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। এই বঙ্গভূমির বঙ্গ-সন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন-তাই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’।
শেখ হাসিনা বলেন, ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছে তোমাকে। তোমার দেহ রক্তাক্ত করেছে। তোমার নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা পারেনি।
তিনি বলেন, ঘাতকেরা বুঝতে পারেনি, তোমার রক্ত ৩২ নম্বর বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ছড়িয়ে গেছে সারা বাংলাদেশ। জন্ম দিয়েছে কোটি কোটি মুজিবের। তাই আজ জেগে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ সত্যের অন্বেষণে।
বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমার কাছে আমাদের অঙ্গীকার, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বই। আর সেদিন বেশি দূরে নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তার ত্যাগ বৃথা যায়নি। আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। গড়তে হবে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তুমি ঘুমাও পিতা শান্তিতে। তোমার বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
তরুণদের জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঠিক যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন, সেভাবেই ভালোবাসতে হবে। তার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন সীমিত করার কথাও তুলে ধরে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে যেসব দেশের সরকার প্রধান ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন ও যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা মুজিববর্ষ উদ্যাপনে অংশীদার হয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশ, ইউনেসকো, ওআইসি-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মুজিববর্ষ উদ্যাপনে অংশীদার হয়েছে। সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পরপর তিন বার সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে মুজিববর্ষ উদ্যাপনের সুযোগ করে দেওয়ায় দেশবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।