কেরু’র হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে আসছে সোমবার
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ২২ মার্চ, ২০২০ ১৪:৫৮
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে কদর বেড়েছে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। তবুও পূরণ হচ্ছে না চাহিদা।
সাধারণ মানুষের সেই চাহিদা মেটাতে এবার বাজারে আসছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ডিস্টিলারি কেরু অ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নাম দেওয়া হয়েছে কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
আগামী সোমবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাজারে আসবে এ পণ্যটি। কয়েক দিনের মধ্যে কেরুর হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্বল্প মূল্যে সকলের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, ১৯৩৮ সাল থেকে কেরু কোম্পানি বিশ্বখ্যাত উন্নতমানের স্পিরিট তৈরি করে আসছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল উপাদানই স্পিরিট। এর সঙ্গে ডিস্টিল্ড ওয়াটার, রং ও ঘ্রাণ মেশালেই তৈরি হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
বাজারে আসা ১০০ মিলি লিটারের একটি বোতলের সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য হবে ৬০ টাকা যা বাজারের যেকোনো স্যানিটাইজারের চেয়ে অনেক কম।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ আলী আনছারী জানান, দেশে এমন উদ্ভূত পরিস্থিতে রাষ্ট্রের স্বার্থে তাৎক্ষণিক এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নিজস্ব রসায়নবিদের মাধ্যমে তৈরি এই স্যানিটাইজারে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ জীবাণু মরে যায়।
তিনি আরও জানান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে ছাড়তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যেহেতু কেরুর স্পিরিট বিক্রির লাইসেন্স আছে, তাই তারা এটি বাজারে বিক্রি করতে পারবে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের অনুমতি পেলেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারজাতকরণ শুরু হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার উৎপাদন করা হয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় কেরু অ্যান্ড কোং এর অনুমোদিত ১৬টি বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। পর্যায়ক্রমে চাহিদামতো দেশের সবক’টি ফার্মেসিতে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
দেশের এমন ক্রান্তিকালে কেরু কোম্পানির এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সবাই। তারা মনে করেন, বাজারে অন্যান্য জীবাণুনাশকের তুলনায় কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ক্রয়মূল্য তুলনামূলক কম। ফলে এটি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাককে। একই সঙ্গে বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের যে সংকট রয়েছে তার অবসান ঘটাবে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কারখানাটি অবস্থিত। এটি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি সংস্থা চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতায় স্পিরিট উৎপাদন করে। এছাড়া তাদের আরও পাঁচটি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ২২ মার্চ, ২০২০ ১৪:৫৮

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে কদর বেড়েছে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। তবুও পূরণ হচ্ছে না চাহিদা।
সাধারণ মানুষের সেই চাহিদা মেটাতে এবার বাজারে আসছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ডিস্টিলারি কেরু অ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নাম দেওয়া হয়েছে কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
আগামী সোমবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাজারে আসবে এ পণ্যটি। কয়েক দিনের মধ্যে কেরুর হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্বল্প মূল্যে সকলের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, ১৯৩৮ সাল থেকে কেরু কোম্পানি বিশ্বখ্যাত উন্নতমানের স্পিরিট তৈরি করে আসছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল উপাদানই স্পিরিট। এর সঙ্গে ডিস্টিল্ড ওয়াটার, রং ও ঘ্রাণ মেশালেই তৈরি হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
বাজারে আসা ১০০ মিলি লিটারের একটি বোতলের সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য হবে ৬০ টাকা যা বাজারের যেকোনো স্যানিটাইজারের চেয়ে অনেক কম।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ আলী আনছারী জানান, দেশে এমন উদ্ভূত পরিস্থিতে রাষ্ট্রের স্বার্থে তাৎক্ষণিক এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নিজস্ব রসায়নবিদের মাধ্যমে তৈরি এই স্যানিটাইজারে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ জীবাণু মরে যায়।
তিনি আরও জানান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে ছাড়তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যেহেতু কেরুর স্পিরিট বিক্রির লাইসেন্স আছে, তাই তারা এটি বাজারে বিক্রি করতে পারবে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের অনুমতি পেলেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারজাতকরণ শুরু হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার উৎপাদন করা হয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় কেরু অ্যান্ড কোং এর অনুমোদিত ১৬টি বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। পর্যায়ক্রমে চাহিদামতো দেশের সবক’টি ফার্মেসিতে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
দেশের এমন ক্রান্তিকালে কেরু কোম্পানির এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সবাই। তারা মনে করেন, বাজারে অন্যান্য জীবাণুনাশকের তুলনায় কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ক্রয়মূল্য তুলনামূলক কম। ফলে এটি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাককে। একই সঙ্গে বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের যে সংকট রয়েছে তার অবসান ঘটাবে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কারখানাটি অবস্থিত। এটি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি সংস্থা চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতায় স্পিরিট উৎপাদন করে। এছাড়া তাদের আরও পাঁচটি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।