কলকাতায় আটকে থাকা বাংলাদেশিদের ‘করোনা আতঙ্ক’
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ মার্চ, ২০২০ ১১:০০
কেউ গেছেন বেড়াতে, কেউ ডাক্তার দেখাতে, কেউ আবার ব্যবসার কাজে। প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে এভাবে অনেক বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইএম বাইপাস লাগোয়া সোনালি পার্ক, শান্তি পার্কের মতো কয়েকটি এলাকার গেস্ট হাউজে আতঙ্কে দিন কাটছে ওই বাংলাদেশিদের।
ভারতে যাদের থাকার জায়গা নেই তারা সাধারণত এখানকারই একাধিক গেস্ট হাউসেই ওঠেন। সেখানে এখন লোকের আনাগোনা কমে এসেছে।
আটকে পড়া বাংলাদেশি পরিবারের সদস্য রিফাত হোসেন নামের এক তরুণ পত্রিকাটিকে বলেন, ‘বন্ধু-বান্ধব, পরিজনেরা মিলিয়ে এখানে আমরা আট জন আছি। আমার এক ভাই পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় উঠেছেন। কলকাতায় ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু করোনার জন্য সব জায়গা তো বন্ধ। ফিরতেও শুনছি সমস্যা হচ্ছে। ভাই এলে ফেরার ব্যাপারে ঠিক করা হবে।’
করোনা-আতঙ্কের মধ্যেও স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত ঝিনাইদহের বাসিন্দা শামিম আহমেদ। শান্তি পার্কের একটি গেস্ট হাউসে বসে তিনি জানান, স্ত্রীরোগের চিকিৎসা করাতে কলকাতায় গেছেন। ২৮ মার্চ পরবর্তী দিন দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালে রোগীদের ভিড় এড়ানোর নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
শামিমের স্ত্রী নার্গিস আখতার বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ডাক্তার দেখানো কি যাবে? আমাদের দেশ থেকেও করোনার খবর পাচ্ছি।’
আবার বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসা না করিয়েই কলকাতা ছাড়ার জন্য মরিয়া গাজীপুর থেকে শান্তি পার্কের এক গেস্টহাউস ওঠা জেসমিন আক্তার। বললেন, ‘মা এ দেশে বসে রোগে পড়তে চাইছেন না। এমনিতেই মায়ের হৃদ্রোগের সমস্যা। তার মধ্যে বয়স্কদের শরীরে করোনা খুব বেশি প্রভাব ফেলছে শুনেছি। তাই ঠিক করেছিলাম, আর দেরি করব না। এখন কী হবে জানি না।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ মার্চ, ২০২০ ১১:০০

কেউ গেছেন বেড়াতে, কেউ ডাক্তার দেখাতে, কেউ আবার ব্যবসার কাজে। প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে এভাবে অনেক বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইএম বাইপাস লাগোয়া সোনালি পার্ক, শান্তি পার্কের মতো কয়েকটি এলাকার গেস্ট হাউজে আতঙ্কে দিন কাটছে ওই বাংলাদেশিদের।
ভারতে যাদের থাকার জায়গা নেই তারা সাধারণত এখানকারই একাধিক গেস্ট হাউসেই ওঠেন। সেখানে এখন লোকের আনাগোনা কমে এসেছে।
আটকে পড়া বাংলাদেশি পরিবারের সদস্য রিফাত হোসেন নামের এক তরুণ পত্রিকাটিকে বলেন, ‘বন্ধু-বান্ধব, পরিজনেরা মিলিয়ে এখানে আমরা আট জন আছি। আমার এক ভাই পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় উঠেছেন। কলকাতায় ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু করোনার জন্য সব জায়গা তো বন্ধ। ফিরতেও শুনছি সমস্যা হচ্ছে। ভাই এলে ফেরার ব্যাপারে ঠিক করা হবে।’
করোনা-আতঙ্কের মধ্যেও স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত ঝিনাইদহের বাসিন্দা শামিম আহমেদ। শান্তি পার্কের একটি গেস্ট হাউসে বসে তিনি জানান, স্ত্রীরোগের চিকিৎসা করাতে কলকাতায় গেছেন। ২৮ মার্চ পরবর্তী দিন দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালে রোগীদের ভিড় এড়ানোর নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
শামিমের স্ত্রী নার্গিস আখতার বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ডাক্তার দেখানো কি যাবে? আমাদের দেশ থেকেও করোনার খবর পাচ্ছি।’
আবার বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসা না করিয়েই কলকাতা ছাড়ার জন্য মরিয়া গাজীপুর থেকে শান্তি পার্কের এক গেস্টহাউস ওঠা জেসমিন আক্তার। বললেন, ‘মা এ দেশে বসে রোগে পড়তে চাইছেন না। এমনিতেই মায়ের হৃদ্রোগের সমস্যা। তার মধ্যে বয়স্কদের শরীরে করোনা খুব বেশি প্রভাব ফেলছে শুনেছি। তাই ঠিক করেছিলাম, আর দেরি করব না। এখন কী হবে জানি না।’