যুক্তরাষ্ট্রের পর আরো দেশ সুরক্ষা সামগ্রী চাচ্ছে :পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ মার্চ, ২০২০ ২৩:৪২
যুক্তরাষ্ট্রের পর আরো কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে সুরক্ষা সামগ্রী চাইছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন,পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেমন শ্রীলঙ্কা, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান, নেপাল, সবাই আমাদের কাছে রিকোয়েস্ট করেছে ইকুইপমেন্টের জন্য। কারণ, তাদের দেশে এসব জিনিসের অভাব আছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) কাছ থেকে পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার চীন থেকে ১০ হাজার পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ১০ হাজার টেস্টিং কিট, এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার আসবে। আরও দুই দিন পর ২৯ মার্চ সে দেশ থেকে ৩০ হাজার এন-৯৫ মাস্ক আসবে। বুধবার (গতকাল) সকালে ভারত সরকার আমাদেরকে এন-৯৫ মাস্ক দিয়েছে। এ ছাড়া, আরো অনেক দেশ আমাদের জন্য এ বিষয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে।’
আব্দুল মোমেন জানান, আজ বেসরকারি খাত যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সেটা আমাদের বড় সক্ষমতা বলা যায়। এই ক্রাইসিসের সময় আমরা সাপ্লাই করতে পারব কিনা, সেটা তারা জানতে চেয়েছে। আমাদের এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী বলেছেন যে, আমরা এগুলো সাপ্লাই করতে পারব। ইতোমধ্যে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখের মতো মাস্ক তৈরি হচ্ছে। আগে ১২ হাজার পিপিই তৈরি হতো, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিদিন ৫ লাখ পিপিই তৈরি হবে। এই যে সক্ষমতা বাড়ানো, আর স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার মনোভাব— এটি একটি নতুনত্ব। এজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ আমাদের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী চাচ্ছে এবং আমরা তাদের দেব’।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আমি খুব আনন্দিত। কারণ, আমরা বিজয়ের জাতি। আমরা ঝড়-ঝাপ্টা সাইক্লোন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ম্যানেজ করেছি।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ মার্চ, ২০২০ ২৩:৪২

যুক্তরাষ্ট্রের পর আরো কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে সুরক্ষা সামগ্রী চাইছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন,পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেমন শ্রীলঙ্কা, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান, নেপাল, সবাই আমাদের কাছে রিকোয়েস্ট করেছে ইকুইপমেন্টের জন্য। কারণ, তাদের দেশে এসব জিনিসের অভাব আছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) কাছ থেকে পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার চীন থেকে ১০ হাজার পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ১০ হাজার টেস্টিং কিট, এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার আসবে। আরও দুই দিন পর ২৯ মার্চ সে দেশ থেকে ৩০ হাজার এন-৯৫ মাস্ক আসবে। বুধবার (গতকাল) সকালে ভারত সরকার আমাদেরকে এন-৯৫ মাস্ক দিয়েছে। এ ছাড়া, আরো অনেক দেশ আমাদের জন্য এ বিষয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে।’
আব্দুল মোমেন জানান, আজ বেসরকারি খাত যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সেটা আমাদের বড় সক্ষমতা বলা যায়। এই ক্রাইসিসের সময় আমরা সাপ্লাই করতে পারব কিনা, সেটা তারা জানতে চেয়েছে। আমাদের এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী বলেছেন যে, আমরা এগুলো সাপ্লাই করতে পারব। ইতোমধ্যে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখের মতো মাস্ক তৈরি হচ্ছে। আগে ১২ হাজার পিপিই তৈরি হতো, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিদিন ৫ লাখ পিপিই তৈরি হবে। এই যে সক্ষমতা বাড়ানো, আর স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার মনোভাব— এটি একটি নতুনত্ব। এজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ আমাদের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী চাচ্ছে এবং আমরা তাদের দেব’।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আমি খুব আনন্দিত। কারণ, আমরা বিজয়ের জাতি। আমরা ঝড়-ঝাপ্টা সাইক্লোন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ম্যানেজ করেছি।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।