৩৫৪ বিদেশি বাংলাদেশ ছাড়লেন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ মার্চ, ২০২০ ২২:৫৪
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় বাংলাদেশ ছেড়েছেন ৩৫৪ বিদেশি নাগরিক। বৃহস্পতিবার আলাদা তিন ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
ওই নাগরিকদের মধ্যে ২৩০ জন মালয়েশিয়ান ও ১২৪ জন ভুটানের নাগরিক। এ ছাড়া দুজন বাংলাদেশি নাগরিকও বাংলাদেশ ছেড়েছেন। তারা ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিমের ছেলে।
দু-একদিনের মধ্যে আরো ৪০০ শ্রীলংকান বাংলাদেশ ছাড়তে পারেন। ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের একটি অংশও ঢাকা ছাড়তে চায়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো কূটনৈতিক বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। যেসব বিদেশি দেশ ছেড়েছেন এরা সবাই সাধারণ নাগরিক। শ্রীলংকার কিছু নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া ইইউর কিছু নাগরিকও বাংলাদেশ ছাড়তে চাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ইইউর কূটনীতিকরা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আমরা বলতে চাই, যেকোনো দেশ তার নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে বিমানের ব্যবস্থা ও পরিবহন খরচ তাদেরই বহন করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি ও ব্যয়ভার বহন করা হবে না। বাংলাদেশ বিমানের পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বিদেশিদের ফেরত পাঠাতে তারা বিমান ভাড়া নিতে পারে।
জানা গেছে, ভুটানের যারা বাংলাদেশ ছেড়েছেন তারা সবাই দেশটির সাধারণ নাগরিক। এদের একটি অংশ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করত। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন পেশাজীবীও রয়েছেন। এরা সবাই ভুটানের ড্রুক এয়ারের মাধ্যমে গেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা এখনো বাংলাদেশ ছাড়েনি। আর মালয়েশিয়ার যে ২৩০ জন দেশে ফিরেছেন তারা সবাই ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থায় কর্মরত। শুরুতে ২২৫ জনের যাওয়ার কথা ছিল। পরে বিমানবন্দরে উপস্থিত মালয়েশিয়ার আরও পাঁচ নাগরিক ঢাকা ছেড়ে যান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ মার্চ, ২০২০ ২২:৫৪

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় বাংলাদেশ ছেড়েছেন ৩৫৪ বিদেশি নাগরিক। বৃহস্পতিবার আলাদা তিন ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
ওই নাগরিকদের মধ্যে ২৩০ জন মালয়েশিয়ান ও ১২৪ জন ভুটানের নাগরিক। এ ছাড়া দুজন বাংলাদেশি নাগরিকও বাংলাদেশ ছেড়েছেন। তারা ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিমের ছেলে।
দু-একদিনের মধ্যে আরো ৪০০ শ্রীলংকান বাংলাদেশ ছাড়তে পারেন। ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের একটি অংশও ঢাকা ছাড়তে চায়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো কূটনৈতিক বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। যেসব বিদেশি দেশ ছেড়েছেন এরা সবাই সাধারণ নাগরিক। শ্রীলংকার কিছু নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া ইইউর কিছু নাগরিকও বাংলাদেশ ছাড়তে চাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ইইউর কূটনীতিকরা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আমরা বলতে চাই, যেকোনো দেশ তার নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে বিমানের ব্যবস্থা ও পরিবহন খরচ তাদেরই বহন করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি ও ব্যয়ভার বহন করা হবে না। বাংলাদেশ বিমানের পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বিদেশিদের ফেরত পাঠাতে তারা বিমান ভাড়া নিতে পারে।
জানা গেছে, ভুটানের যারা বাংলাদেশ ছেড়েছেন তারা সবাই দেশটির সাধারণ নাগরিক। এদের একটি অংশ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করত। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন পেশাজীবীও রয়েছেন। এরা সবাই ভুটানের ড্রুক এয়ারের মাধ্যমে গেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা এখনো বাংলাদেশ ছাড়েনি। আর মালয়েশিয়ার যে ২৩০ জন দেশে ফিরেছেন তারা সবাই ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থায় কর্মরত। শুরুতে ২২৫ জনের যাওয়ার কথা ছিল। পরে বিমানবন্দরে উপস্থিত মালয়েশিয়ার আরও পাঁচ নাগরিক ঢাকা ছেড়ে যান।