কেমন কাটছে ‘গৃহবন্দী’ সময়?
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ মার্চ, ২০২০ ২৩:৫৭
ছবি: দেশ রূপান্তর
করোনাভাইরাস আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবী। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। সবাইকে নিজের বাড়িতে থাকার জন্য সরকার দশ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। কেমন কাটছে ঘরবন্দী এই ছুটির সময়?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেকেই পরিবারকে সময় দিচ্ছেন, গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ বই পড়ছেন, সিনেমা দেখছেন, রান্না করে, ধর্মীয় প্রার্থনায় ব্যস্ত থেকে সময় পার করছেন। আবার জরুরি প্রয়োজনে কাউকে হয়তো ঘর থেকে বাইরেও যেতে হচ্ছে।
শংকর এলাকায় থাকেন কলেজশিক্ষক মাহাদী আলম। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটি পেয়েছেন সবাই। কিন্তু বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এমন ছুটিতে কি আর আনন্দ হয়? মনে হচ্ছে গৃহবন্দী হয়ে আছি।’
অন্যদিকে রাজাবাজার এলাকায় থাকেন সুমন ইয়াসিন। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে ঘরবন্দী রয়েছি। এ সময়টাতে অন্তত ২০টার মতো সিনেমা দেখেছি।’
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা জানিয়েছেন, গৃহবন্দী এই সময়টাতে মায়ের কাছ থেকে বেশ কিছু রান্না শিখে নিয়েছেন। অন্যদিকে বাসায় অবসর না থেকে স্ত্রীকে রান্নায় সহযোগিতা করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন আজিমপুরের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন।
দেশের জনপ্রিয় সব তারকারাও এখন অবসর সময় কাটাচ্ছেন নিজ গৃহে। করোনা আতঙ্কের কারণে শুটিং বন্ধ থাকায় তাদেরও থাকতে হচ্ছে বাড়িতে। অভিনেতা সাজু খাদেম তার ছেলের সঙ্গে কাটানো মজার সব ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করছেন।
ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ছেলের সঙ্গে ক্যারম খেলছেন, এমন একটি ভিডিও তো রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপু বিশ্বাস, জাকিয়া বারী মমসহ অনেক তারকা ফেসবুকে করোনার বিষয়ে সচেতনমূলক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। গৃহবন্দী সময়ের ভিডিও প্রকাশ করছেন অনেক তারকা। অভিনেত্রী নওশাবাকে দেখা গেছে বাসাতেই পুতুল নাটক তৈরি করে করোনার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাজেদুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘করোনা থেকে বাঁচার জন্য সবাই সচেতন হয়ে ঘরে থাকছে। এটা ইতিবাচক। কিন্তু মানুষের স্বভাবই হচ্ছে কাজ ছাড়া থাকতে পারে না। এ জন্য অলস সময়কেও সচেতনভাবেই কাজের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ সময়টাতে কিছু কাজের পরিকল্পনা করে, চিত্ত-বিনোদনের জন্য গান শোনা, সিনেমা দেখা, বই পড়া কিংবা রান্না করা, ব্যায়াম করা, ধর্মীয় প্রার্থনায় ব্যস্ত থাকার মধ্য দিয়ে সময় কাটানো যেতে পারে। অলস বসে থাকলে বিরক্তির মাত্রা বাড়তে থাকবে, সঙ্গে করোনার আতঙ্কও বাড়বে। তাই সবাইকে এই ছুটির সময়টা ব্যবহার করতে হবে ভালো চিন্তায়, ভালো কাজে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ মার্চ, ২০২০ ২৩:৫৭

করোনাভাইরাস আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবী। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। সবাইকে নিজের বাড়িতে থাকার জন্য সরকার দশ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। কেমন কাটছে ঘরবন্দী এই ছুটির সময়?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেকেই পরিবারকে সময় দিচ্ছেন, গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ বই পড়ছেন, সিনেমা দেখছেন, রান্না করে, ধর্মীয় প্রার্থনায় ব্যস্ত থেকে সময় পার করছেন। আবার জরুরি প্রয়োজনে কাউকে হয়তো ঘর থেকে বাইরেও যেতে হচ্ছে।
শংকর এলাকায় থাকেন কলেজশিক্ষক মাহাদী আলম। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটি পেয়েছেন সবাই। কিন্তু বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এমন ছুটিতে কি আর আনন্দ হয়? মনে হচ্ছে গৃহবন্দী হয়ে আছি।’
অন্যদিকে রাজাবাজার এলাকায় থাকেন সুমন ইয়াসিন। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে ঘরবন্দী রয়েছি। এ সময়টাতে অন্তত ২০টার মতো সিনেমা দেখেছি।’
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা জানিয়েছেন, গৃহবন্দী এই সময়টাতে মায়ের কাছ থেকে বেশ কিছু রান্না শিখে নিয়েছেন। অন্যদিকে বাসায় অবসর না থেকে স্ত্রীকে রান্নায় সহযোগিতা করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন আজিমপুরের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন।
দেশের জনপ্রিয় সব তারকারাও এখন অবসর সময় কাটাচ্ছেন নিজ গৃহে। করোনা আতঙ্কের কারণে শুটিং বন্ধ থাকায় তাদেরও থাকতে হচ্ছে বাড়িতে। অভিনেতা সাজু খাদেম তার ছেলের সঙ্গে কাটানো মজার সব ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করছেন।
ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ছেলের সঙ্গে ক্যারম খেলছেন, এমন একটি ভিডিও তো রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপু বিশ্বাস, জাকিয়া বারী মমসহ অনেক তারকা ফেসবুকে করোনার বিষয়ে সচেতনমূলক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। গৃহবন্দী সময়ের ভিডিও প্রকাশ করছেন অনেক তারকা। অভিনেত্রী নওশাবাকে দেখা গেছে বাসাতেই পুতুল নাটক তৈরি করে করোনার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাজেদুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘করোনা থেকে বাঁচার জন্য সবাই সচেতন হয়ে ঘরে থাকছে। এটা ইতিবাচক। কিন্তু মানুষের স্বভাবই হচ্ছে কাজ ছাড়া থাকতে পারে না। এ জন্য অলস সময়কেও সচেতনভাবেই কাজের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ সময়টাতে কিছু কাজের পরিকল্পনা করে, চিত্ত-বিনোদনের জন্য গান শোনা, সিনেমা দেখা, বই পড়া কিংবা রান্না করা, ব্যায়াম করা, ধর্মীয় প্রার্থনায় ব্যস্ত থাকার মধ্য দিয়ে সময় কাটানো যেতে পারে। অলস বসে থাকলে বিরক্তির মাত্রা বাড়তে থাকবে, সঙ্গে করোনার আতঙ্কও বাড়বে। তাই সবাইকে এই ছুটির সময়টা ব্যবহার করতে হবে ভালো চিন্তায়, ভালো কাজে।’