করোনায় দেশের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে সাড়ে ৩ শতাংশে
অনলাইন ডেস্ক | ২ এপ্রিল, ২০২০ ১০:১৭
প্রতীকী ছবি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে। এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। কমবে প্রবৃদ্ধিও।
লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মনে করছে, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৩ শতাংশ, যা আগে সাড়ে ৭ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছিল।
করোনা প্রাদুর্ভাবের বিস্তার রোধে প্রতিরোধমূলক যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার অর্থনৈতিক ক্ষতি ব্যাপক হবে বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স।
এক বিশ্লেষণে তারা বলছে, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানের কারণে তুলনামূলক বেশি প্রণোদনা সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় প্রণোদনার ধরন কিছুটা সীমিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ঘোষণা দেন।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স আশঙ্কা করছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ অঞ্চলে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি অনেকই কমবে। জনগণের চলাচল কমাতে সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার কারণে ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ায় একটা বড় ধাক্কা লেগেছে চাহিদার দিক দিয়ে- এতে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেরই প্রবৃদ্ধি কমে যাবে।
এরপর কারখানা ও ব্যবসা–বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর গিয়ে পড়েছে আরেকটি ধাক্কা। পরে যা চাহিদার ওপর আরেক ধরনের ধাক্কা দেবে। বিশ্বজুড়ে একই পদক্ষেপ নেওয়ায় তা রপ্তানি চাহিদাও সীমাবদ্ধ করে দিচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২ এপ্রিল, ২০২০ ১০:১৭

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে। এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। কমবে প্রবৃদ্ধিও।
লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মনে করছে, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৩ শতাংশ, যা আগে সাড়ে ৭ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছিল।
করোনা প্রাদুর্ভাবের বিস্তার রোধে প্রতিরোধমূলক যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার অর্থনৈতিক ক্ষতি ব্যাপক হবে বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স।
এক বিশ্লেষণে তারা বলছে, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানের কারণে তুলনামূলক বেশি প্রণোদনা সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় প্রণোদনার ধরন কিছুটা সীমিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ঘোষণা দেন।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স আশঙ্কা করছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ অঞ্চলে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি অনেকই কমবে। জনগণের চলাচল কমাতে সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার কারণে ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ায় একটা বড় ধাক্কা লেগেছে চাহিদার দিক দিয়ে- এতে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেরই প্রবৃদ্ধি কমে যাবে।
এরপর কারখানা ও ব্যবসা–বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর গিয়ে পড়েছে আরেকটি ধাক্কা। পরে যা চাহিদার ওপর আরেক ধরনের ধাক্কা দেবে। বিশ্বজুড়ে একই পদক্ষেপ নেওয়ায় তা রপ্তানি চাহিদাও সীমাবদ্ধ করে দিচ্ছে।