এসএসসির ফলাফল প্রকাশ পেছাতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ এপ্রিল, ২০২০ ২৩:৫৩
করোনা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২০ এর ফলাফল প্রকাশের সময় পিছিয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এজন্য শিক্ষকরা সঠিক সময়ে উত্তরপত্র হাতে না পাওয়ায় দেখতে পারছেন না। আবার যাদের দেখা হয়েছে, তারাও স্ব স্ব বোর্ডে জমা দিতে পারছেন না।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ পরও যদি দেশের সব জায়গায় পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়, তাহলে নির্ধারিত সময়েই ফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে সেটি সম্ভব হবে না। পিছিয়ে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ থেকে ৯ মের মধ্যে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ফল প্রকাশে দেরি হলেও, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম যথাসময়ে হবে বলে জানান ঢাকা বোর্ডের এই চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হলেও ভর্তি কার্যক্রম সঠিক সময়েই হবে। প্রয়োজনে সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হবে।’
এদিকে, চলমান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অন্তত ১৫ দিন পর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ এপ্রিল, ২০২০ ২৩:৫৩

করোনা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২০ এর ফলাফল প্রকাশের সময় পিছিয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এজন্য শিক্ষকরা সঠিক সময়ে উত্তরপত্র হাতে না পাওয়ায় দেখতে পারছেন না। আবার যাদের দেখা হয়েছে, তারাও স্ব স্ব বোর্ডে জমা দিতে পারছেন না।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ পরও যদি দেশের সব জায়গায় পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়, তাহলে নির্ধারিত সময়েই ফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে সেটি সম্ভব হবে না। পিছিয়ে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ থেকে ৯ মের মধ্যে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ফল প্রকাশে দেরি হলেও, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম যথাসময়ে হবে বলে জানান ঢাকা বোর্ডের এই চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হলেও ভর্তি কার্যক্রম সঠিক সময়েই হবে। প্রয়োজনে সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হবে।’
এদিকে, চলমান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অন্তত ১৫ দিন পর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।