ভিক্ষুক, শিল্পপতি সবাই আছেন প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:১৭
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি পর্যন্ত সবাই আছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষ- ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি সবাইকে এ প্যাকেজের সহায়তার আওতায় এনে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তা সবকর্তৃক অভিনন্দিত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী রবিবার সরকারি বাসভবনে ভিডিও কনফরেন্সে এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত এ প্যাকেজের সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ যেভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে পৃথিবীর সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, সেভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায়ও পৃথিবীর সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারবে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জীবিকাকেও রক্ষা করার জন্য আজ যে ঐতিহাসিক এবং সাহসী ঘোষণা দিয়েছেন- এটি আমাদের আশপাশের দেশ এমনকি ভারতের তুলনায় অনেক বড় প্যাকেজ। ভারতে তারা তাদের জিডিপির ০.৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। আর বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন মোট জিডিপির ২.৫২ শতাংশ। যা ভারতের তুলনায় অনেক বড় প্যাকেজ।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন সেটি হচ্ছে ৮.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন এবং জীবিকা দু’টি রক্ষার লক্ষ্যেই কাজ করছেন। তিনি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভবিষ্যতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। সমস্ত আশংকার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অন্যান্য শিল্পপতিসহ সবাইকে এ প্যাকেজের আওতায় এনে যে অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন যাকে বাংলাদেশের মানুষ সত্যিই প্রশংসা করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে শুধু অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা নয়, সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ ও ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৩০ লাখেরও বেশি পরিবারের কাছে ৬৮০ কোটি নগদ অর্থ বিতরণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বাধিক দরিদ্র্যপীড়িত ১০০ উপজেলায় সব বয়স্ক ও বিধবাকে ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈশ্বিস মন্দার আশঙ্কা, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাবসহ সব বিষয়কে বিবেচনায় এনে সব মানুষ, ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি এই প্যাকেজের সহায়তার আওতায় এনে তিনি (শেখ হাসিনা) যে ঘোষণা দিয়েছেন তা সত্যি যুগান্তকারী।
তথ্যমন্ত্রী এ প্যাকেজের বিশ্লেষণ করে বলেন, ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, এগুলোর মধ্যে অনেক রিভলভিং প্যাকেজ রয়েছে। এই প্যাকেজে ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থায়ন সম্ভব। সত্যি এটি একটি ইনোভেটিভ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:১৭

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি পর্যন্ত সবাই আছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষ- ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি সবাইকে এ প্যাকেজের সহায়তার আওতায় এনে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তা সবকর্তৃক অভিনন্দিত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী রবিবার সরকারি বাসভবনে ভিডিও কনফরেন্সে এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত এ প্যাকেজের সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ যেভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে পৃথিবীর সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, সেভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায়ও পৃথিবীর সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারবে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জীবিকাকেও রক্ষা করার জন্য আজ যে ঐতিহাসিক এবং সাহসী ঘোষণা দিয়েছেন- এটি আমাদের আশপাশের দেশ এমনকি ভারতের তুলনায় অনেক বড় প্যাকেজ। ভারতে তারা তাদের জিডিপির ০.৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। আর বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন মোট জিডিপির ২.৫২ শতাংশ। যা ভারতের তুলনায় অনেক বড় প্যাকেজ।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন সেটি হচ্ছে ৮.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন এবং জীবিকা দু’টি রক্ষার লক্ষ্যেই কাজ করছেন। তিনি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভবিষ্যতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। সমস্ত আশংকার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অন্যান্য শিল্পপতিসহ সবাইকে এ প্যাকেজের আওতায় এনে যে অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন যাকে বাংলাদেশের মানুষ সত্যিই প্রশংসা করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে শুধু অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা নয়, সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ ও ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৩০ লাখেরও বেশি পরিবারের কাছে ৬৮০ কোটি নগদ অর্থ বিতরণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বাধিক দরিদ্র্যপীড়িত ১০০ উপজেলায় সব বয়স্ক ও বিধবাকে ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। বৈশ্বিস মন্দার আশঙ্কা, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাবসহ সব বিষয়কে বিবেচনায় এনে সব মানুষ, ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি এই প্যাকেজের সহায়তার আওতায় এনে তিনি (শেখ হাসিনা) যে ঘোষণা দিয়েছেন তা সত্যি যুগান্তকারী।
তথ্যমন্ত্রী এ প্যাকেজের বিশ্লেষণ করে বলেন, ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, এগুলোর মধ্যে অনেক রিভলভিং প্যাকেজ রয়েছে। এই প্যাকেজে ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থায়ন সম্ভব। সত্যি এটি একটি ইনোভেটিভ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।