করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিদেশে অন্তত ৮০ বাংলাদেশির মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক | ৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:২৩
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৮০ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মৃত বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৩ জন ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশে করোনায় মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের একটা তালিকা করা হচ্ছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটা প্রতিদিন বাড়ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশে নতুন করে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন অথবা মারা যাচ্ছেন বলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক দপ্তরগুলো নিশ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তালিকা করছি। প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশের মিশনগুলো এটা করেছে এবং তারা আমাদের তালিকা জানাচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন ১১ জন। এর বাইরে সৌদি আরবে ৫ জন, কাতারে ২ জন, ইতালিতে ২ জন, স্পেনে ১ জন এবং গাম্বিয়ায় ১ জন মারা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে থেকে জাহিদ শিবলি নামে এক বাংলাদেশি বলেন, ‘শুরু থেকে কেউই বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি। বাংলাদেশিরাও না। এখন সবাই গুরুতরভাবে দেখছে করোনাভাইরাসকে।’
খুব জরুরি কোনো কারণ দেখাতে না পারলে বাইরে বের হলে সেখানে এক হাজার ডলারের জরিমানাও করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
জার্মানির হাইডেলবার্গে থাকা তাইশা তাশরিন নামে আরেক বাংলাদেশি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান বাদে সব বন্ধ। সুপারমার্কেটে পর্যাপ্ত খাবার আসছে। সময়মতো গেলে টয়লেট পেপারও পাওয়া যায়। মনে হচ্ছে মানুষ প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ঘরে থাকায় অভ্যস্ত হচ্ছে।’
করোনাভাইরাসের অন্যতম কেন্দ্র ইতালির রোমে বাস করেন শানু হাসান। এই বাংলাদেশি বলেন, ‘শুধু রোম নয়, পুরো ইতালিতে বাংলাদেশিরা অন্য জায়গার তুলনায় ভালো আছেন।’
তবে ইতালির আরেক শহর উদিনে থাকা সুলতান মাহমুদ নামে একজন জানান, বাংলাদেশিরা এখনো তেমনভাবে আক্রান্ত না হলেও মানসিকভাবে খারাপ সময় পার করছেন তিনি ও তার পরিবার।
ইতালিতে কাজ করা বাংলাদেশি ওষুধ গবেষক এ.এইচ.এম. সাইফুদ্দিন বলেন, ‘চোখের সামনে প্রতিদিন লাশ দেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা যায় না এরপরও নিজেকে সান্ত্বনা দেই নিজের দেশ, পরিবারের কথা ভেবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রমান্বয়ে বাজে অবস্থা খুবই পীড়া দিচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। প্রায় পৌনে ১৩ লাখ মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:২৩
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৮০ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মৃত বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৩ জন ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশে করোনায় মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের একটা তালিকা করা হচ্ছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটা প্রতিদিন বাড়ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশে নতুন করে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন অথবা মারা যাচ্ছেন বলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক দপ্তরগুলো নিশ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তালিকা করছি। প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশের মিশনগুলো এটা করেছে এবং তারা আমাদের তালিকা জানাচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন ১১ জন। এর বাইরে সৌদি আরবে ৫ জন, কাতারে ২ জন, ইতালিতে ২ জন, স্পেনে ১ জন এবং গাম্বিয়ায় ১ জন মারা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে থেকে জাহিদ শিবলি নামে এক বাংলাদেশি বলেন, ‘শুরু থেকে কেউই বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি। বাংলাদেশিরাও না। এখন সবাই গুরুতরভাবে দেখছে করোনাভাইরাসকে।’
খুব জরুরি কোনো কারণ দেখাতে না পারলে বাইরে বের হলে সেখানে এক হাজার ডলারের জরিমানাও করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
জার্মানির হাইডেলবার্গে থাকা তাইশা তাশরিন নামে আরেক বাংলাদেশি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান বাদে সব বন্ধ। সুপারমার্কেটে পর্যাপ্ত খাবার আসছে। সময়মতো গেলে টয়লেট পেপারও পাওয়া যায়। মনে হচ্ছে মানুষ প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ঘরে থাকায় অভ্যস্ত হচ্ছে।’
করোনাভাইরাসের অন্যতম কেন্দ্র ইতালির রোমে বাস করেন শানু হাসান। এই বাংলাদেশি বলেন, ‘শুধু রোম নয়, পুরো ইতালিতে বাংলাদেশিরা অন্য জায়গার তুলনায় ভালো আছেন।’
তবে ইতালির আরেক শহর উদিনে থাকা সুলতান মাহমুদ নামে একজন জানান, বাংলাদেশিরা এখনো তেমনভাবে আক্রান্ত না হলেও মানসিকভাবে খারাপ সময় পার করছেন তিনি ও তার পরিবার।
ইতালিতে কাজ করা বাংলাদেশি ওষুধ গবেষক এ.এইচ.এম. সাইফুদ্দিন বলেন, ‘চোখের সামনে প্রতিদিন লাশ দেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা যায় না এরপরও নিজেকে সান্ত্বনা দেই নিজের দেশ, পরিবারের কথা ভেবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রমান্বয়ে বাজে অবস্থা খুবই পীড়া দিচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। প্রায় পৌনে ১৩ লাখ মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে।