মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
অনলাইন ডেস্ক | ৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:২৫
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাজেদ গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর বাকি চার পলাতক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেও খুশির একটা খবর এসেছে যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একজন আব্দুল মাজেদ গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখীন করা হবে। আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা তা সম্ভব হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, এখনো চারজন খুনি পলাতক রয়েছে। এদের দু’জনের অবস্থানও জানা। একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায়। আশা করি মুজিববর্ষেই বাকি খুনিদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের মানুষ ও প্রবাসীদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও জানান ড. এ ক আব্দুল মোমেন।
সোমবার রাত ৩টার দিকে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি বিশেষ দল মিরপুর সাড়ে ১১ এলাকা থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।
এখনো বিদেশে পলাতক আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:২৫

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাজেদ গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর বাকি চার পলাতক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেও খুশির একটা খবর এসেছে যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একজন আব্দুল মাজেদ গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখীন করা হবে। আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা তা সম্ভব হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, এখনো চারজন খুনি পলাতক রয়েছে। এদের দু’জনের অবস্থানও জানা। একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায়। আশা করি মুজিববর্ষেই বাকি খুনিদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের মানুষ ও প্রবাসীদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও জানান ড. এ ক আব্দুল মোমেন।
সোমবার রাত ৩টার দিকে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি বিশেষ দল মিরপুর সাড়ে ১১ এলাকা থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।
এখনো বিদেশে পলাতক আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।