খুনি মাজেদ ২০-২২ বছর ভারতে পালিয়ে ছিলেন
অনলাইন ডেস্ক | ৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:৫৭
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদ ২০-২২ বছর ধরে ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরনকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলা এ কথা জানিয়েছে।
হিরন জানান, আজ (মঙ্গলবার) ভোরে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলার আগে কিছুটা সময় আবদুল মাজেদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সেসময় তিনি (মাজেদ) তাকে জানান যে, গত ২০ থেকে ২২ বছর ধরে তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন।
তিনি বলেন, ভারতের কলকাতায় তিনি (মাজেদ) থাকতেন বলে জানান। তবে সুনির্দিষ্টভাবে তিনি কোনো জায়গার নাম উল্লেখ করতে পারেননি।
হিরন বলেন, গত মাসের ১৫-১৬ তারিখের দিকে মাজেদ বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বলেও জানান। তিনি কীভাবে বাংলাদেশে আসলেন সেটা আসলে জানা হয়নি।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে মিরপুরের গাবতলী এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি) আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করে।
বাংলাদেশে ফেরার পর তিনি কোথায় থাকতেন বা কী করতেন সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।
সিটিটিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ১৫ মার্চের দিকে আবদুল মাজেদ বাংলাদেশে ঢোকার পরপরই ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারা সেটি জানতে পারেন। সেই তথ্য অনুযায়ী, তাকে ট্র্যাক করে গ্রেপ্তারের তৎপরতায় ছিল পুলিশ।
সূত্রগুলো বলছে, মাজেদ যে ভারতে ছিলেন গ্রেপ্তারের পর তিনি তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
হিরন বলেন, মাজেদ গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন যে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মহানগর পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, যেহেতু সাজা ঘোষণার অনেক দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো তাই আপিল করার কোনো সুযোগ পাবেন না তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।
এখনো বিদেশে পলাতক আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:৫৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদ ২০-২২ বছর ধরে ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরনকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলা এ কথা জানিয়েছে।
হিরন জানান, আজ (মঙ্গলবার) ভোরে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলার আগে কিছুটা সময় আবদুল মাজেদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সেসময় তিনি (মাজেদ) তাকে জানান যে, গত ২০ থেকে ২২ বছর ধরে তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন।
তিনি বলেন, ভারতের কলকাতায় তিনি (মাজেদ) থাকতেন বলে জানান। তবে সুনির্দিষ্টভাবে তিনি কোনো জায়গার নাম উল্লেখ করতে পারেননি।
হিরন বলেন, গত মাসের ১৫-১৬ তারিখের দিকে মাজেদ বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বলেও জানান। তিনি কীভাবে বাংলাদেশে আসলেন সেটা আসলে জানা হয়নি।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে মিরপুরের গাবতলী এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি) আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করে।
বাংলাদেশে ফেরার পর তিনি কোথায় থাকতেন বা কী করতেন সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।
সিটিটিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ১৫ মার্চের দিকে আবদুল মাজেদ বাংলাদেশে ঢোকার পরপরই ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারা সেটি জানতে পারেন। সেই তথ্য অনুযায়ী, তাকে ট্র্যাক করে গ্রেপ্তারের তৎপরতায় ছিল পুলিশ।
সূত্রগুলো বলছে, মাজেদ যে ভারতে ছিলেন গ্রেপ্তারের পর তিনি তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
হিরন বলেন, মাজেদ গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন যে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মহানগর পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, যেহেতু সাজা ঘোষণার অনেক দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো তাই আপিল করার কোনো সুযোগ পাবেন না তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।
এখনো বিদেশে পলাতক আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।