ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম: ১ চেয়ারম্যান, ২ সদস্য বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:৫১
ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ১ ইউপি চেয়ারম্যান ও ২ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এক প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
রবিবার এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এর আগে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। ব্যবসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন বন্ধসহ চলাচলেও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী, দরিদ্র, কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার। বিভিন্ন স্থানে এসব ত্রাণ সহায়তা আত্মসাৎসহ দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার এক ভিডিও কনফারেন্সে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তিনজনকে বরখাস্ত করা হলো।
বিকেলে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির কারণে তিন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আফসারের বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরাদ্দ ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহিন শাহ শ্রমজীবী মানুষের জন্য সরকারের ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ না করে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন।
এ ছাড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. কবির হোসেন সরকারের ত্রাণ বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। যা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উক্ত চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানিয়ে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানাতে বলা হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:৫১

ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ১ ইউপি চেয়ারম্যান ও ২ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এক প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
রবিবার এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এর আগে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। ব্যবসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন বন্ধসহ চলাচলেও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী, দরিদ্র, কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার। বিভিন্ন স্থানে এসব ত্রাণ সহায়তা আত্মসাৎসহ দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার এক ভিডিও কনফারেন্সে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তিনজনকে বরখাস্ত করা হলো।
বিকেলে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির কারণে তিন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আফসারের বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরাদ্দ ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহিন শাহ শ্রমজীবী মানুষের জন্য সরকারের ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ না করে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন।
এ ছাড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. কবির হোসেন সরকারের ত্রাণ বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। যা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উক্ত চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানিয়ে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানাতে বলা হয়।