নারী উদ্যোক্তারাও পাচ্ছেন প্রণোদনা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:৩২
করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং মাঝারি শিল্পের জন্য যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল (সিএমএসএমই) দিয়েছে তা পাবেন নারী উদ্যোক্তরাও।
সঙ্কটকালীন সময়ের জন্য ঘোষিত এই প্রণোদনার অর্থ ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এক নীতিমালা প্রণয়ন করে। তাতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখভিত্তিক সিএমএসএমই ঋণস্থিতির সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ এক অর্থ বছরে এই প্যাকেজের আওতায় চলতি মলূ ধন হিসেবে ঋণ দিতে পারবে। যেহেতু প্যাকেজের আওতায় মোট তহবিলের পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে, সে কারণে প্রত্যেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ সীমার বিষয়ে এ সাকুর্লার জারির তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট’কে অবহিত করবে। এর আওতায় সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করাসহ এর সুবিধা যাতে অধিকসংখ্যক উদ্যোক্তা পেতে পারেন এর সামঞ্জস্যতা বিধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনে উক্ত সীমা বৃদ্ধি/হ্রাস করতে পারবে।
এই ঋণের সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সিএমএসএমই খাতের উৎপাদন ও সেবা উপখাতকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে, ব্যবসা/ট্রেড ভিত্তিক মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবে।
বার্ষিক মোট ঋণের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ গ্রাম অঞ্চলে প্রদান করতে হবে। ৭০ শতাংশ কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে এবং অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ মাঝারি শিল্প খাতে প্রদান করতে হবে।
মোট ঋণের কমপক্ষে ৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে।
এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে তিন বছর। কোনো একক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ এক বছর এ প্যাকেজের আওতায় সরকার হতে ভর্তুকি পাবেন।
তবে ঋণখেলাপিরা এ অর্থ পাবেন না। খেলাপিরা পাবে না। এমনকি যে সব ঋণ খেলাপি বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সুযোগ নিয়ে তিন বারের বেশি তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন, তারাও এই প্রণোদনার অর্থ পাবে না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:৩২

করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং মাঝারি শিল্পের জন্য যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল (সিএমএসএমই) দিয়েছে তা পাবেন নারী উদ্যোক্তরাও।
সঙ্কটকালীন সময়ের জন্য ঘোষিত এই প্রণোদনার অর্থ ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এক নীতিমালা প্রণয়ন করে। তাতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখভিত্তিক সিএমএসএমই ঋণস্থিতির সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ এক অর্থ বছরে এই প্যাকেজের আওতায় চলতি মলূ ধন হিসেবে ঋণ দিতে পারবে। যেহেতু প্যাকেজের আওতায় মোট তহবিলের পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে, সে কারণে প্রত্যেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ সীমার বিষয়ে এ সাকুর্লার জারির তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট’কে অবহিত করবে। এর আওতায় সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করাসহ এর সুবিধা যাতে অধিকসংখ্যক উদ্যোক্তা পেতে পারেন এর সামঞ্জস্যতা বিধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনে উক্ত সীমা বৃদ্ধি/হ্রাস করতে পারবে।
এই ঋণের সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সিএমএসএমই খাতের উৎপাদন ও সেবা উপখাতকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে, ব্যবসা/ট্রেড ভিত্তিক মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবে।
বার্ষিক মোট ঋণের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ গ্রাম অঞ্চলে প্রদান করতে হবে। ৭০ শতাংশ কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে এবং অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ মাঝারি শিল্প খাতে প্রদান করতে হবে।
মোট ঋণের কমপক্ষে ৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে।
এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে তিন বছর। কোনো একক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ এক বছর এ প্যাকেজের আওতায় সরকার হতে ভর্তুকি পাবেন।
তবে ঋণখেলাপিরা এ অর্থ পাবেন না। খেলাপিরা পাবে না। এমনকি যে সব ঋণ খেলাপি বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সুযোগ নিয়ে তিন বারের বেশি তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন, তারাও এই প্রণোদনার অর্থ পাবে না।