‘বাঁচতে চাইলে ক্ষেতে যাই’
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ২০:২৯
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বের অনেক দেশেই চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কৃষিকাজও। লকডাউন পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে মহামন্দার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বিশেষজ্ঞই ভবিষ্যতের খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ার কথা বলছেন।
বাংলাদেশেও বোরো ধানের মৌসুম নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। ধান কাটা থেকে শুরু করে বিক্রির বিষয়েও তাদের দুশ্চিন্তা দেখা গেছে। অনেক অর্থনীতিবিদ এ সময় কৃষকের পাশে দাঁড়াতে বলছেন সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ফেইসবুকে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
‘বাঁচতে চাইলে ক্ষেতে যাই’ শিরোনামে তিনি ফেইসবুকে লেখেন, ‘করোনাভাইরাস যত মানুষকে মারবে, তার চেয়ে বেশি হয়তো আমরা মারা পড়তে পারি খাদ্যাভাবে। কারণ এত লম্বা সময় ধরে যদি আমরা গৃহবন্দী অবস্থায় থাকি, তাহলে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনের কি হবে’!
তিনি আরো লেখেন, ‘পকেটে টাকা থাকবে ঠিকই কিন্তু খাবার পাওয়া যাবে না। খোলা মাঠে সূর্যালোকে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খুব সহজেই কৃষি কাজ করা যায়। এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। কৃষি শ্রমিক না পেলে, পরিবারের সদস্যরা মিলে নিজেদের জমিতে আমরা নিজেরাই চাষাবাদ করতে পারি’।
ইমরুল কায়েস এ বিষয়ে নগর কৃষির উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘বাংলাদেশের সমস্ত ভূমিকে আমাদের ব্যবহার করতে হবে; এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। এমনকি টব ও বাড়ির ছাদেও ছোট পরিসরে আমরা চাষাবাদ করতে পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে, পুরো বিশ্বে এই মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। সুতরাং অন্যান্য দেশ হতে খাদ্যশস্য কেনাও সম্ভব হবে না। কেননা প্রতিটি দেশ তার নিজের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাবে’।
‘আমাদের ডায়নামিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র ব্যাপারটি অনুধাবন করে কৃষি-কৃষক বাঁচাতে তথা সর্বোপরি জনগণকে ক্ষুধার হাত থেকে রক্ষা করতে কৃষি খাতে ইতিমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। সরকারিভাবে ব্যাপক খাদ্যশস্য সংগ্রহসহ নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন বাস্তবধর্মী কর্মসূচি। আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রীর কাছে’।
‘আসুন, সবাই ক্ষেতে যাই’।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ২০:২৯

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বের অনেক দেশেই চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কৃষিকাজও। লকডাউন পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে মহামন্দার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বিশেষজ্ঞই ভবিষ্যতের খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ার কথা বলছেন।
বাংলাদেশেও বোরো ধানের মৌসুম নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। ধান কাটা থেকে শুরু করে বিক্রির বিষয়েও তাদের দুশ্চিন্তা দেখা গেছে। অনেক অর্থনীতিবিদ এ সময় কৃষকের পাশে দাঁড়াতে বলছেন সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ফেইসবুকে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
‘বাঁচতে চাইলে ক্ষেতে যাই’ শিরোনামে তিনি ফেইসবুকে লেখেন, ‘করোনাভাইরাস যত মানুষকে মারবে, তার চেয়ে বেশি হয়তো আমরা মারা পড়তে পারি খাদ্যাভাবে। কারণ এত লম্বা সময় ধরে যদি আমরা গৃহবন্দী অবস্থায় থাকি, তাহলে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনের কি হবে’!
তিনি আরো লেখেন, ‘পকেটে টাকা থাকবে ঠিকই কিন্তু খাবার পাওয়া যাবে না। খোলা মাঠে সূর্যালোকে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খুব সহজেই কৃষি কাজ করা যায়। এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। কৃষি শ্রমিক না পেলে, পরিবারের সদস্যরা মিলে নিজেদের জমিতে আমরা নিজেরাই চাষাবাদ করতে পারি’।
ইমরুল কায়েস এ বিষয়ে নগর কৃষির উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘বাংলাদেশের সমস্ত ভূমিকে আমাদের ব্যবহার করতে হবে; এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। এমনকি টব ও বাড়ির ছাদেও ছোট পরিসরে আমরা চাষাবাদ করতে পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে, পুরো বিশ্বে এই মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। সুতরাং অন্যান্য দেশ হতে খাদ্যশস্য কেনাও সম্ভব হবে না। কেননা প্রতিটি দেশ তার নিজের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাবে’।
‘আমাদের ডায়নামিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র ব্যাপারটি অনুধাবন করে কৃষি-কৃষক বাঁচাতে তথা সর্বোপরি জনগণকে ক্ষুধার হাত থেকে রক্ষা করতে কৃষি খাতে ইতিমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। সরকারিভাবে ব্যাপক খাদ্যশস্য সংগ্রহসহ নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন বাস্তবধর্মী কর্মসূচি। আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রীর কাছে’।
‘আসুন, সবাই ক্ষেতে যাই’।