গাজীপুরে করোনা ছড়ানোর জন্য গার্মেন্টস মালিকদের দুষলেন এসপি
অনলাইন ডেস্ক | ২০ এপ্রিল, ২০২০ ১৩:৫৫
লকডাউনের মধ্যে হাজার হাজার শ্রমিককে ফিরিয়ে এনে গাজীপুর জেলায় করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তারের জন্য গার্মেন্টস কারখানার মালিকদের দুষলেন জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি প্রসঙ্গটি তোলেন।
গাজীপুর পুলিশ সুপার বলেন, গত ৪ এপ্রিল পুনরায় কারখানা খুলে দেওয়ার নির্দেশের পর গার্মেন্টস শ্রমিকদের ফেরার আগ পর্যন্ত গাজীপুরে কোনো করোনা রোগী ছিল না।
তিনি বলেন, কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পরই করোনাভাইরাসের হটস্পট নারায়ণগঞ্জ এবং অন্যান্য জেলা থেকে হাজার হাজার শ্রমিক গাজীপুরে ফিরে আসে এবং গাজীপুরকে খারাপ অবস্থার মধ্যে ফেলে।
শামসুন্নাহার বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে শ্রমিকদের পুনরায় ডেকে আনা উচিত হয়নি। এছাড়া এখনো অনেক শ্রমিক গাজীপুরে রয়েছে। কারাখানাগুলো এখনো তাদের মজুরি পরিশোধ করেনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুপারভাইজারকে দিয়ে শ্রমিকদের ফোন করানো হলো। এভাবে শ্রমিকদের ডেকে আনা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। মাইলের পর মাইল হেঁটে এসেছে। অনেক বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। গাড়িঘোড়া বন্ধ ছিল। শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা যেমন করা হবে, নেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।
গাজীপুরে শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লকডাউন নিশ্চিত করে সীমিত পর্যায়ে হলেও উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। সেটি কীভাবে করা যায় নিশ্চিত করতে হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২০ এপ্রিল, ২০২০ ১৩:৫৫

লকডাউনের মধ্যে হাজার হাজার শ্রমিককে ফিরিয়ে এনে গাজীপুর জেলায় করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তারের জন্য গার্মেন্টস কারখানার মালিকদের দুষলেন জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি প্রসঙ্গটি তোলেন।
গাজীপুর পুলিশ সুপার বলেন, গত ৪ এপ্রিল পুনরায় কারখানা খুলে দেওয়ার নির্দেশের পর গার্মেন্টস শ্রমিকদের ফেরার আগ পর্যন্ত গাজীপুরে কোনো করোনা রোগী ছিল না।
তিনি বলেন, কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পরই করোনাভাইরাসের হটস্পট নারায়ণগঞ্জ এবং অন্যান্য জেলা থেকে হাজার হাজার শ্রমিক গাজীপুরে ফিরে আসে এবং গাজীপুরকে খারাপ অবস্থার মধ্যে ফেলে।
শামসুন্নাহার বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে শ্রমিকদের পুনরায় ডেকে আনা উচিত হয়নি। এছাড়া এখনো অনেক শ্রমিক গাজীপুরে রয়েছে। কারাখানাগুলো এখনো তাদের মজুরি পরিশোধ করেনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুপারভাইজারকে দিয়ে শ্রমিকদের ফোন করানো হলো। এভাবে শ্রমিকদের ডেকে আনা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। মাইলের পর মাইল হেঁটে এসেছে। অনেক বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। গাড়িঘোড়া বন্ধ ছিল। শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা যেমন করা হবে, নেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।
গাজীপুরে শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লকডাউন নিশ্চিত করে সীমিত পর্যায়ে হলেও উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। সেটি কীভাবে করা যায় নিশ্চিত করতে হবে।