চার বছরে ভূগর্ভস্থ হবে ঢাকা শহরের বৈদ্যুতিক তার: নসরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ২০:২৯
আগামী চার বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের বৈদ্যুতিক তার ভূগর্ভস্থ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ধানমন্ডি এলাকায় তার ভূগর্ভস্থ করার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট মিটারসহ আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে এ খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরো দৃঢ় করা হবে বলে জানান তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে নানাভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে। বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশের নয়টি স্থানে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উইন্ড ম্যাপিং করা হয়েছে। বায়ুর বেগ ৫ দশমিক ৭৫ মিটার/সেকেন্ড থেকে ৬ দশমিক ২৫ মিটার/সেকেন্ড বিবেচনায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বায়ু থেকে পাওয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য থেকে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে বর্জ্য থেকে ছয় মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে বিদ্যুৎ ক্রয় প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর কাজ চলছে।
তিনি জানান, সৌর বিদ্যুৎ থেকে এক হাজার ৫৭০ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় অনুমোদন পেয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বর্তমানে ৬৫০ দশমিক ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সোলার আছে ৪১৬ দশমিক ৩৯, বায়ু দুই দশমিক নয় ও জলবিদ্যুৎ ২৩০ মেগাওয়াট।
২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে লক্ষণীয় সাফল্য দেখাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ২০:২৯

আগামী চার বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের বৈদ্যুতিক তার ভূগর্ভস্থ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ধানমন্ডি এলাকায় তার ভূগর্ভস্থ করার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট মিটারসহ আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে এ খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরো দৃঢ় করা হবে বলে জানান তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে নানাভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে। বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশের নয়টি স্থানে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উইন্ড ম্যাপিং করা হয়েছে। বায়ুর বেগ ৫ দশমিক ৭৫ মিটার/সেকেন্ড থেকে ৬ দশমিক ২৫ মিটার/সেকেন্ড বিবেচনায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বায়ু থেকে পাওয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য থেকে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে বর্জ্য থেকে ছয় মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে বিদ্যুৎ ক্রয় প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর কাজ চলছে।
তিনি জানান, সৌর বিদ্যুৎ থেকে এক হাজার ৫৭০ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় অনুমোদন পেয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বর্তমানে ৬৫০ দশমিক ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সোলার আছে ৪১৬ দশমিক ৩৯, বায়ু দুই দশমিক নয় ও জলবিদ্যুৎ ২৩০ মেগাওয়াট।
২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে লক্ষণীয় সাফল্য দেখাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।