দেশে করোনা টিকা উৎপাদনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে: স্বাস্থ্য সচিব
গাজীপুর প্রতিনিধি | ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৩৬
ছবি: দেশ রূপান্তর।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, দেশে করোনা টিকা উৎপাদনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। নিয়মমতো হলে তবেই অনুমোদন দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছেন। সরকারের আগে প্রাইভেট সেক্টর বা কোনো কোম্পানি টিকা দেয়া শুরু করতে পারবে না।
তিনি শনিবার দুপুরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, করোনার টিকা দেয়ার জন্য যারা মাঠে কাজ করবে তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ইনসেনটিভ দেয়ার জন্য বলেছি। যারা ট্রেইনার তাদেরও আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমাদের সিভিল সার্জন থেকে শুরু করে সকলেই এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভ্যাকসিন দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো। কাজেই আমাদের যেহেতু সবার চেয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা বেশি। আমরা খুবই আশাবাদী। সারা দেশে আমরা এটা শুরু করতে পারব। যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করতে পারব। মোবাইলেই সবকিছু পাওয়া যাবে। মোবাইলে মেসেজ দিয়েই সবকিছু করব। কারা রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হবে এটা মেসেজেই পাবে। এ ব্যবস্থা আমরা করেছি এবং কাজটা প্রায় শেষের দিকে।
সচিব বলেন, কে কীভাবে কখন শুরু করবে কি সুযোগ পাবে প্রাইভেট সেক্টর এটা সরকার নির্ধারণ করে দেবে। এটা এ রকম না যে ডিসপেনসারিতে পাওয়া যাবে। তাহলে দেশের মানুষের জন্য হুমকি হতে পারে। এগুলো সরকার পুরোটাই যথাযথ ভাবে মনিটর করবে। সরকারই দায়িত্ব পালন করবে। এখানে মানুষের জীবন নিয়ে যে কেউ যা ইচ্ছা তা করবে এটা সরকার হতে দেবে না।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন, ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে সচিব শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের নামে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
গাজীপুর প্রতিনিধি | ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৩৬

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, দেশে করোনা টিকা উৎপাদনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। নিয়মমতো হলে তবেই অনুমোদন দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছেন। সরকারের আগে প্রাইভেট সেক্টর বা কোনো কোম্পানি টিকা দেয়া শুরু করতে পারবে না।
তিনি শনিবার দুপুরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, করোনার টিকা দেয়ার জন্য যারা মাঠে কাজ করবে তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ইনসেনটিভ দেয়ার জন্য বলেছি। যারা ট্রেইনার তাদেরও আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমাদের সিভিল সার্জন থেকে শুরু করে সকলেই এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভ্যাকসিন দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো। কাজেই আমাদের যেহেতু সবার চেয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা বেশি। আমরা খুবই আশাবাদী। সারা দেশে আমরা এটা শুরু করতে পারব। যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করতে পারব। মোবাইলেই সবকিছু পাওয়া যাবে। মোবাইলে মেসেজ দিয়েই সবকিছু করব। কারা রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হবে এটা মেসেজেই পাবে। এ ব্যবস্থা আমরা করেছি এবং কাজটা প্রায় শেষের দিকে।
সচিব বলেন, কে কীভাবে কখন শুরু করবে কি সুযোগ পাবে প্রাইভেট সেক্টর এটা সরকার নির্ধারণ করে দেবে। এটা এ রকম না যে ডিসপেনসারিতে পাওয়া যাবে। তাহলে দেশের মানুষের জন্য হুমকি হতে পারে। এগুলো সরকার পুরোটাই যথাযথ ভাবে মনিটর করবে। সরকারই দায়িত্ব পালন করবে। এখানে মানুষের জীবন নিয়ে যে কেউ যা ইচ্ছা তা করবে এটা সরকার হতে দেবে না।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন, ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে সচিব শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের নামে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।