অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:৩৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনেতা, পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান দিলুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানান।
দিলু আজ সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও দিলুর ফুসফুসে সংক্রমণ ৭০ ভাগ ছাড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে হার্টবিট কমে যায়। তাকে রাখা হয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও এসব করোনা আক্রান্তের উপসর্গ এবং সাইটোকাইন স্ট্রোম বয়ে যায় দিলুর শরীরে।
খ্যাতিমান এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হচ্ছে- ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় নাটক ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’ ও ‘সংশপ্তক’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন দিলু।
মুক্তিযোদ্ধা এই অভিনেতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ঢাকার ড্রামা’ নামে একটি নাট্যগোষ্ঠী।
স্কুলে পড়ার সময়ই স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন দিলু। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে যে মিছিলে গুলিতে আসাদ শহীদ হয়েছিলেন সেই মিছিলে ছিলেন তিনিও।
দিলু ১৯৭০ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েই যুদ্ধে চলে যান। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় সরাসরি রণাঙ্গনে ছিলেন তিনি। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। সেসময় তিনি ঢাকায় কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:৩৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনেতা, পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান দিলুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানান।
দিলু আজ সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও দিলুর ফুসফুসে সংক্রমণ ৭০ ভাগ ছাড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে হার্টবিট কমে যায়। তাকে রাখা হয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও এসব করোনা আক্রান্তের উপসর্গ এবং সাইটোকাইন স্ট্রোম বয়ে যায় দিলুর শরীরে।
খ্যাতিমান এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হচ্ছে- ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় নাটক ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’ ও ‘সংশপ্তক’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন দিলু।
মুক্তিযোদ্ধা এই অভিনেতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ঢাকার ড্রামা’ নামে একটি নাট্যগোষ্ঠী।
স্কুলে পড়ার সময়ই স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন দিলু। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে যে মিছিলে গুলিতে আসাদ শহীদ হয়েছিলেন সেই মিছিলে ছিলেন তিনিও।
দিলু ১৯৭০ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েই যুদ্ধে চলে যান। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় সরাসরি রণাঙ্গনে ছিলেন তিনি। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। সেসময় তিনি ঢাকায় কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।