ঘর পাচ্ছে ৬৬ হাজার ভূমিহীন পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:৪৩
ছবিটি পাবনার চরসদিরাজপুর থেকে তোলা।
মুজিববর্ষে সরকারের ঘোষণার আওতায় শনিবার গৃহহীন-ভূমিহীন ৬৬ হাজার ১৮৯ পরিবার ঘর পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪৯২টি উপজেলায় যুক্ত হয়ে গৃহহীন-ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের এ উপহার তুলে দেবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করে তাদের ঘর করে দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে মুখ্য সচিব কায়কাউস বলেন, ছয় মাসেরও কম সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও প্রায় এক লাখ পরিবারকে ঘর উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। শুধু ঘরই নয়, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানানো হয়, তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই ঘরগুলো দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ৪১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় তৈরি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৫৩৮টি ঘর। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনশীল ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকায় ৩৮ হাজার ৫৮৬টি ঘর এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকায় ৩ হাজার ৬৫টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পগুলোতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
মুখ্য সচিব বলেন, এটি একটি অসাধারণ ঘটনা। একই সাথে এতগুলো পরিবারের পুনর্বাসনের নজির পৃথিবীতে আর নেই।
এখন যেভাবে পুনর্বাসনের কাজ চলছে, তাতে আগামী ২ বছরের মধ্যে গৃহহীন পৌনে ৯ লাখ পরিবারের প্রত্যেকটি ঘর পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ভূমিহীন-গৃহহীনদের যে ঘরগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর প্রত্যেকটিতে রয়েছে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং একটি লম্বা বারান্দা। এই ঘরের নকশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই পছন্দ করেছেন বলে জানান মুখ্য সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, শুধু ঘরই যে দেওয়া হচ্ছে, তা না। প্রত্যেককে তার জমি ও ঘরের দলিল নিবন্ধন ও নামজারিও করে দেওয়া হচ্ছে। যদি জমি ও ঘরের মূল্য হিসাব করা হয়, তাহলে একেক পরিবার প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ পাচ্ছে।
তিনি জানান, মালিকানার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনের নামেই জমি নিবন্ধন করা হয়েছে। নিবন্ধনের যে দলিল তাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনের নামই থাকছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:৪৩

মুজিববর্ষে সরকারের ঘোষণার আওতায় শনিবার গৃহহীন-ভূমিহীন ৬৬ হাজার ১৮৯ পরিবার ঘর পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪৯২টি উপজেলায় যুক্ত হয়ে গৃহহীন-ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের এ উপহার তুলে দেবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করে তাদের ঘর করে দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে মুখ্য সচিব কায়কাউস বলেন, ছয় মাসেরও কম সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও প্রায় এক লাখ পরিবারকে ঘর উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। শুধু ঘরই নয়, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানানো হয়, তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই ঘরগুলো দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ৪১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় তৈরি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৫৩৮টি ঘর। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনশীল ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকায় ৩৮ হাজার ৫৮৬টি ঘর এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকায় ৩ হাজার ৬৫টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পগুলোতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
মুখ্য সচিব বলেন, এটি একটি অসাধারণ ঘটনা। একই সাথে এতগুলো পরিবারের পুনর্বাসনের নজির পৃথিবীতে আর নেই।
এখন যেভাবে পুনর্বাসনের কাজ চলছে, তাতে আগামী ২ বছরের মধ্যে গৃহহীন পৌনে ৯ লাখ পরিবারের প্রত্যেকটি ঘর পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ভূমিহীন-গৃহহীনদের যে ঘরগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর প্রত্যেকটিতে রয়েছে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং একটি লম্বা বারান্দা। এই ঘরের নকশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই পছন্দ করেছেন বলে জানান মুখ্য সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, শুধু ঘরই যে দেওয়া হচ্ছে, তা না। প্রত্যেককে তার জমি ও ঘরের দলিল নিবন্ধন ও নামজারিও করে দেওয়া হচ্ছে। যদি জমি ও ঘরের মূল্য হিসাব করা হয়, তাহলে একেক পরিবার প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ পাচ্ছে।
তিনি জানান, মালিকানার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনের নামেই জমি নিবন্ধন করা হয়েছে। নিবন্ধনের যে দলিল তাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনের নামই থাকছে।