রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারে পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:৪৯
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন,‘ ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা পরিবেশগত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিহিত রয়েছে।
‘নতুন স্বাভাবিক, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পর্যটন’ শীর্ষক এসিডির ১৭তম মন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তুরস্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলু চাভুসগ্লো। শুক্রবার পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সকলের সদিচ্ছাই পারে বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদ এবং গণহত্যার মতো সকল প্রকার সহিংস কার্যক্রম বন্ধ করতে।
তিনি বলেন,‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ‘সংযোগ এবং আঞ্চলিকতা’র প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘কোভিড-১৯ মহামারি উদ্ভূত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশীয় পর্যটনগুলির উন্নয়ন একটি অন্যতম সম্ভাব্য উপায় হতে পারে। ’
তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের এই উদীয়মান পর্যটন খাতের মোট ক্ষতি প্রায় ১৮০ বিলিয়ন টাকা।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সহায়তায় এশিয়া সহযোগিতা সংলাপের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে একটি টেকসই এবং স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে আরও সুসংহত করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রায় ৩৬৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলো পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে।
বৈঠকে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশসমূহ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগগুলিকে বিবেচনা করে করোনা মহামারির দীর্ঘমেয়াদী আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিরসনের লক্ষ্যে সকল সেক্টরে নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ বৈঠকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় মহামারি দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ পর্যটন খাতকে একটি অপরিহার্য স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
টেকসই অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং সুরক্ষিত ভ্রমণ ও পর্যটন নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসিডি অঞ্চলে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেন।
এসিডি’র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- তুরস্ক, কম্বোডিয়া, ভূটান, নেপাল, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, কুয়েত, বাহরাইন, কাজাখস্তান, লাওস ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীবৃন্দ এবং মালয়েশিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, চীন, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:৪৯

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন,‘ ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা পরিবেশগত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিহিত রয়েছে।
‘নতুন স্বাভাবিক, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পর্যটন’ শীর্ষক এসিডির ১৭তম মন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তুরস্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলু চাভুসগ্লো। শুক্রবার পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সকলের সদিচ্ছাই পারে বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদ এবং গণহত্যার মতো সকল প্রকার সহিংস কার্যক্রম বন্ধ করতে।
তিনি বলেন,‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ‘সংযোগ এবং আঞ্চলিকতা’র প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘কোভিড-১৯ মহামারি উদ্ভূত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশীয় পর্যটনগুলির উন্নয়ন একটি অন্যতম সম্ভাব্য উপায় হতে পারে। ’
তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের এই উদীয়মান পর্যটন খাতের মোট ক্ষতি প্রায় ১৮০ বিলিয়ন টাকা।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সহায়তায় এশিয়া সহযোগিতা সংলাপের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে একটি টেকসই এবং স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে আরও সুসংহত করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রায় ৩৬৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলো পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে।
বৈঠকে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশসমূহ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগগুলিকে বিবেচনা করে করোনা মহামারির দীর্ঘমেয়াদী আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিরসনের লক্ষ্যে সকল সেক্টরে নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ বৈঠকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় মহামারি দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ পর্যটন খাতকে একটি অপরিহার্য স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
টেকসই অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং সুরক্ষিত ভ্রমণ ও পর্যটন নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসিডি অঞ্চলে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেন।
এসিডি’র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- তুরস্ক, কম্বোডিয়া, ভূটান, নেপাল, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, কুয়েত, বাহরাইন, কাজাখস্তান, লাওস ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীবৃন্দ এবং মালয়েশিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, চীন, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ।